ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়। ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

মসৃণ উজ্জ্বল ত্বক সবাই চায়। কিন্তু বর্তমান সময়ের দূষণ আর ধুলাবালির জন্য ত্বক অনেকটা মলিন হয়ে ওঠে । পাশাপাশি জীবনযাপনের বিভিন্ন অসতর্কতার কারণেও ত্বকে দাগ দেখা দেয়। দাগহীন সুন্দর, সুস্থ  ত্বক সবারই কাম্য। তাই আজকে জানবো কিভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয়ে।

Ways to increase skin radiance

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

নিয়মিত যত্নের অভাবে আর নামিদামি কসমেটিক্স ব্যবহারের ফলেও ত্বকের সৌন্দর্য ঠিক থাকে না। এই ত্বক ঠিক রাখতে যেমন স্বাস্থ্যর সুরক্ষা জরুরি  তেমন পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার হয়। এক্ষেত্রে ত্বক ঠিক রাখতে ঘরোয়া কিছু সমাধান রয়েছে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। যেমন নিয়মিত পানি ব্যবহারের ফলে, অ্যালভেরা ব্যবহার করলে ও গোলাপজল ব্যবহার করেও ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা যায়। প্রতিদিন পানি সর্বনিম্ন ৬ থেকে ৮ গ্লাস পান করতে হবে। এরকমভাবে টানা এক সপ্তাহ ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এলোভেরাতেও আছে মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, সুগার, স্যাপোনিন, এনজাইম এবং লিগনিন। এছাড়া এলোভেরাতে আরো আছে ভিটামিন  বি১২,  ফলিক এসিড এবং কোলাইন। এটি ব্যবহারের ফলেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে মুখ ভালো করে ধুয়ে গোলাপজল ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বেসনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়।

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

শীতকাল চলে এসেছে। শীতল এই বাতাসের উৎসবে ঠান্ডায় ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। ত্বকেও কিছুটা কালো কালো ছোপ পড়ে যায়। সবাই প্রত্যেক ঋতুতে স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর ত্বক পেতে চায়। অন্যান্য ঋতু থেকে শীতকালে একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শীতকালে অল্প কয়েকটি নিয়ম মানলেই ত্বক উজ্জ্বল প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। ত্বকের তারণ্য ও বজায় রাখা সম্ভব হবে। শীতকালের ত্বক অত্যাধিক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সবার আগে ত্বকে ভালো মানের একটি ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। এরপর শীতকালের উজ্জ্বল ত্বক ফিরে পেতে ময়েশ্চারাইজিং ও গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে। তাই শীতকালে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার বাছাই করা উচিত যাতে ভিটামিন ই ও হায়ালুরোনিক এসিডের মতে উৎপাদন থাকে।এছাড়াও ত্বকে ভালো এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। শীতকালে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে আরেকটি মূল চাবিকাঠি হল এক্সফোলিয়েট। এক্সফোলিয়েশন হল ত্বকের বাইরের স্তর থেকে মৃত ত্বকের কোষ অপসারণ প্রক্রিয়া। এই এক্সফোলিয়েট সঠিকভাবে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এগুলো ব্যবহার ফলে শীতকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যাবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঔষধ

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সবাই চায়। কিন্তু রোদে পুড়ে মুখে মলিন ভাব চলে আসে। এছাড়াও শীতকালের ত্বক অনেকটা শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির অনেক প্রকারের ঔষধ রয়েছে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য যে ঔষধ টি বেশি কার্যকর তা নির্ভর করে ত্বকের সমস্যার উপর। ত্বকের উজ্জ্বলতার মূল কারণ হলো অত্যাধিক মেলানিন এর উৎপাদন। যদিও ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়ার মূল কারণ হলো মৃত কোষ জমে থাকা, তাহলে গ্লাইকোলিক এসিড এর জন্য কার্যকর হতে পারে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই ঔষধ ব্যবহার করার আগে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ত্বকের উজ্জ্বলতার বৃদ্ধির ঔষধ হল ভিটামিন ই, গ্লাইকোলিক এসিড, ভিটামিন সি, হাইড্রোকুইনোন এবং ট্রেটিনয়েন। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ত্বককে উজ্জ্বল দেখায়। গ্লাইকোলিক এসিড একটি ত্বক বিশোধক এসিড যা ত্বকের মৃত কোষগুলোকে সরিয়ে ফেলে। ভিটামিন সি ও একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে যা ত্বককে মসৃণ দেখায়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্রিম

দাগহীন সুস্থ,  সুন্দর ত্বক সবাই চায়। আজকাল ঘরোয়া উপায় ছাড়াও নারীরা তাদের নিজেদের ত্বককে স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল করতে ক্রিম খুজে থাকে। সেই জন্য বিভিন্ন প্রসাধন  নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নারীদের চাহিদার কথা চিন্তা করে ফর্সাকারী ফেয়ারনেস ক্রিম নিয়ে এসেছে, যা নারীর ত্বকের স্থায়ীভাবে ফর্সা করে। নারীরা বরাবরই রূপচর্চায় সচেতন। বর্তমানে মানুষের  গায়ের রং এর কাছে গুন বরাবরই ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ব্যস্ততায়, মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার ফলে তাদের ত্বকের জৌলস দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। আগের মত আর ঘন্টা ধরে রূপচর্চা করার সময় থাকে না যার জন্য নারীরা এমন  কোন উপায় খুঁজে যাতে তারা ঘরে বসেই ত্বককে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে পারে। কিন্তু সকল ক্রিম বা প্রসাধনী সব  স্ক্রিনের জন্য তেমন একটা মানানসই হয় না। তাই ক্রিম কেনার আগে অবশ্যই জেনে বুঝে যাচাই করে নিতে হবে। ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেয়ারনেস ক্রিম রয়েছে। যেমনঃ লোটাস হার্বাল্স হোয়াইট গ্লো ক্রিম, ওলাই হোয়াইট রেসিডেন্স ক্রিম, ওয়াও ফেয়ারনেস ক্রিম, হিমালয়া হারবাল ক্লিয়ার কমপ্লেক্সিঅন ক্রিম, ০৩ প্লাস হোয়াইটনিং ক্রিম, গার্নিয়ার লাইট কমপ্লিট ক্রিম। কিন্তু সতর্কতা বিষয় হলো স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিমগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে। ক্রিমগুলো নকল কিনা আসল এগুলো যাচাই-বাছাই করে কিনা উচিত।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার

দাগহীন, উজ্জ্বল, চকচকে ত্বক কে না চায়। সবাই চায় ত্বককে ফ্রেশ রাখতে, ত্বককে মসৃণ রাখতে, ত্বক উজ্জ্বল রাখতে। এই উজ্জ্বল ত্বক ফিরিয়ে আনতে কত রকমের পন্থা অবলম্বন করতে হয়। শুধুমাত্র প্রোডাক্ট বা ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিলেই হয় না। পারফেক্ট চকচকে স্কিনের জন্য পুষ্টির ও প্রয়োজন হয়। ত্বককে ফ্রেশ ও উজ্জ্বল রাখতে দৈনন্দিন খাবারের চাহিদা ও পূরন করতে হবে।

ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে এরকম কিছু খাবারের নাম হলোঃ

টমেটোঃ

টমেটোতে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন এবং ই আছে যা ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল রাখে ও ত্বককে সুন্দর রাখে।

শসাঃ

শসাতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট । যা স্কিনকে হেলদি এবং গ্লোয়িং রাখে। এছাড়া বয়সের ছাপ ও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।

পানিঃ

ত্বককে ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। পানি ত্বকের ভাঁজ দূর করতে এবং পাশাপাশি শরীরে চিনি জামতে দেয় না। পরিমিত পানি খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে।

বাদামঃ

বাদামে আছে ভিটামিন ই আর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখলে এর পুষ্টি উপাদানগুলো ত্বককে লাবন্যময় ও সজীব করে তুলে।

এছাড়াও আরো রয়েছে মাছ, শাকসবজি, কলা, গাজর,  গ্রিন টি এগুলো খেলেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

ফর্সা বা সুন্দর ত্বক আমরা সকলেই চাই। সে জন্য আমরা নানা রকম ক্রিম/প্যাক ব্যবহার করি। বাজারের ক্রিম ব্যবহারে ত্বকের মধ্যে নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব পড়ায় সবাই এখন ত্বকের যত্নে বেশ চিন্তিত হয়ে উঠেছি। তাই আজকে আমরা জানবো এমন কিছু ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা প্যাক যা ব্যবহারে আমাদের ত্বক পূর্বের তুলনায় অনেকগুণ ফর্সা/উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

১) টমেটো ও হলুদের ফেইস প্যাকঃ

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে টমেটো অনেকটা কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। অপরদিকে হলুদের ভেষজ উপাদান ত্বক ফর্সা করে। ১ চামচ টমেটোর পেস্ট ও সাথে ১ চিমটি হলুদের গুড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই হয়ে যাবে টমেটো ও হলুদের ফেইস প্যাক। যা তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

২) কলা দিয়ে তৈরি ফেইস প্যাকঃ

আমাদের ত্বকের সান ট্যান দূর করার জন্য নানা রকম ফেইস প্যাক ব্যবহার করে থাকি। যার মধ্যে বেশি কার্যকর হয়ে থাকে এই কলার তৈরি ফেইস প্যাকটি। ফেইস প্যাকটি বানানোর জন্য প্রয়োজন হবে কলা, মধু এবং টক দই। একটি পাত্রে পরিমান মত কলা নিয়ে সেখানে ১ চামচ মধু এবং ১ চামচ টক দই নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের সান ট্যান দূর করে ত্বক ফর্সা করে তোলে। এই প্যাকটি সব ধরনের ত্বকের সাথে মানানসই তাই এটি সবাই ব্যবহার করতে পারবে।

৩) বেসনের তৈরি ফেইস প্যাকঃ

বেসনের তৈরি ফেইস প্যাক আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বা ত্বক ফর্সা করে থাকলেও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তা কার্যকারী নয়। বেসনের ফেইস প্যাক বানাতে হলে বেসনের সাথে কিছুটা বাটার মিল্ক মিশিয়ে নিয়ে মুখে দিতে হবে। তারপর শুকিয়ে গেলে তা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহারে ত্বক ফর্সা হবে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

৪) গুড়া দুধ ও লেবুর রসের ফেইস প্যাকঃ

সব ধরনের ত্বকে এই প্যাক কাজ করে থাকে। আমরা যারা ব্রণের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত তারা এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে এই সমস্যা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পেতে পারি। যেহেতু উপাদান গুলো আমাদের ঘরে পাওয়া যায় তাই এই প্যাকটি তৈরি করতে তেমন কোনো ঝামেলা হয় না। প্রথমে একটি পাত্রে ১ চামচ গুড়া দুধ, ২ চামচ লেবুর রস ও ১/২ চামচ মধু নিতে হবে। তারপর সব উপাদান গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ফেইস প্যাক। যা পুরো মুখে দিয়ে ১০ মিনিট রাখতে হবে। তারপর ধুয়ে নিলেই দেখা যাবে ত্বক আগের তুলনায় অনেকটাই উজ্জ্বল দেখাবে।

৫) আলুর খোসার ফেইস প্যাকঃ

আলুর খোসায় রয়েছে বিভিন্ন ব্লিচিং উপাদান যা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের সব ধরনের তৈলাক্ততা দূর করে। এই প্যাক বানানোর জন্য আলুর খোসা গুলোকে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর এই পেস্ট নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।

৬) পুদিনা পাতার ফেইস প্যাকঃ

পুদিনা পাতার পেস্ট নিয়মিত ব্যবহারে ত্বককে টান টান করে এবং ত্বকের পোর ঢেকে দেবে। কারণ এতে রয়েছে অ্যাসট্রিজেন্ট যা ত্বকের পুষ্টি যোগায় ফলে ত্বক ফর্সা হয়ে উঠে। এই প্যাক বানানোর জন্য ২০টির মতো পাতা নিয়ে পেস্ট করতে হবে। এই পেস্ট ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ভাবেই পুদিনা পাতার ফেইস প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ফর্সা হয়ে উঠে।

মেয়েদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

গ্লোয়িং, দাগহীন,  সুন্দর চকচকে ত্বক সব বাঙালি মেয়েদের স্বপ্ন। কবি সাহিত্যিকরা যতই শ্যামবর্ণ  মেয়ের মুখ ও চোখের সৌন্দর্যের  বর্ণনাই করুক কিন্তু ভুক্তভোগীরাই কেবল  জানে গায়ের রং ফর্সা না হলে কতটা তিরস্কার আর অবহেলিত হতে হয়। বর্তমান সময়ে কমবেশি সব মেয়েরাই ত্বককে উজ্জ্বল করতে চায়। কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াও মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। ঘরোয়া উপায়ে মুখের ত্বক উজ্জ্বল করার একটি উপাদান হলো এলোভেরা। এলোভেরা মুখে নিয়মিত মাখলে নতুন কোষের বৃদ্ধি হয়। যার ফলে মুখে একটা সুদিং ইফেক্ট  দেয়, পাশাপাশি ত্বককে হাইড্রেট করে মুখের পোর ওপেনিং গুলো ছোট করে। কিন্তু অনেকের অ্যালোভেরা তে এলার্জি আছে, তাই আগে ত্বকে এলার্জি আছে কিনা তা চেক করে এলোভেরা ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও মুখ কে উজ্জ্বল করতে ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন টোটকা ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন ডিম দুধ খাওয়ার ফলেও মুখের উজ্জ্বলতা  বৃদ্ধি পায়। দৈনন্দিন মুখে একটু পরপর পানি দেওয়ার অভ্যাস থাকতে হবে। মুখে একটু পরপর পানি দিলে মুখ পরিষ্কার থাকে। এছাড়া ত্বককে আরো উজ্জ্বল করতে ত্বকে  ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে ত্বকের পোর গুলো ছোট ছোট হয়। এছাড়াও ময়েশ্চারাইজার এ থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা মুখের গ্লোয়িং বাড়ায়। এছাড়াও সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে  মুখের ত্বককে বাঁচাতে SPF-15 অথবা এর উপরের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। যা ব্যবহারের ফলে ত্বক মলিন হবে না এবং ত্বক থাকবে গ্লোয়িং এবং সতেজ। এজন্যই প্রতিদিন সানস্ক্রিন মাখতে হবে।

ছেলেদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

গ্লোয়িং, দাগহীন, সুন্দর চকচকে ত্বক শুধু বাঙালি মেয়েদের স্বপ্নই না পাশাপাশি ছেলেদের ও স্বপ্ন। ছেলেরাও ত্বককে সুন্দর রাখতে চায়। দৈনন্দিন জীবনে ছেলেদের বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত থাকতে হয়। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় রোদে পুড়ে কাজ করতে হয়। যার কারনে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। ঘরোয়া উপায়ে কোন প্বার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়াও ত্বক উজ্জ্বল করা যায়। বিশেষত ছেলেদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত ঘুমাতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, ঘুমানোর আগে মুখ পরিস্কার রাখতে হবে, সাবান ব্যবহার করা যাবে না, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার (যেমনঃ করলা, মাছ, টমেটো, বাদাম, পানি, কলা, গাজর ইত্যাদি) খেতে হবে।

প্রতিদিন পানি কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লিটার খেতে হবে। দৈনন্দিন মুখ একটু পরপর পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া ত্বককে আরো উজ্জ্বল করতে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজারে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের পোর গুলো ছোট করতে সাহায্য করে। ঘরোয়া উপায়ে কিছু টোটকা আছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url