ব্লগিং কি? লেখালেখি করে অনলাইনে আয় করার উপায়
ব্লগিং কি?
ব্লগিং কিভাবে শিখব?
ব্লগিং করে কত ভিজিটরে আয় কত?
ব্লগিং করে কমপক্ষে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। ভিজিটরের ভিত্তিতে ইনকাম ধরা হয় না। ইনকাম হয় এডে ক্লিক হলে। প্রতি এডে ক্লিকের জন্য $০.০১ থেকে $৫০ পর্যন্ত দেয় গুগুল এডসেন্স।
ব্লগ সাইট থেকে আয় করার সহজ উপায়
ব্লগার থেকে টাকা আয় করার ১০ টি উপায় হলোঃ
- এডসেন্স বিজ্ঞাপন
- লোকাল বিজ্ঞাপন
- অনলাইন কোর্স
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট
- কনসালটেন্সি
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- গেস্ট ব্লগিং
- পেইড রিভিউ
- পেইড আর্টিকেল
- অনলাইন শপ
১। এডসেন্স বিজ্ঞাপনঃ আপনার ব্লগের জন্য গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলে নিন। এরপর আপনার ব্লগ সাইটেরর জন্য গুগুল এডসেন্সের আবেদন করুন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি এডসেন্স পেয়ে যাবেন। তখন থেকে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এড দেখাবে। আর সেই এড দেখানোর ফলে আপনার আয় হবে।
গুগল এডসেন্স থেকে কতো টাকা আয় হয়?
ওয়েবসাইটে প্রতি এড দেখানোর জন্য গুগল $০.০১ থেকে $৫০ পর্যন্ত দিয়ে থাকে। মূলত গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় এডে ক্লিকের উপর নির্ভর করে।
২। লোকাল বিজ্ঞাপনঃ বিভিন্ন কোম্পানির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এই ইনকাম টা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি যত টাকার কন্ট্রাক্ট করবেন ততই আয় হবে।
৩। অনলাইন কোর্সঃ আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয় নিয়ে একটি কোর্স তৈরি করে আপনার ওয়েবসাইটে বিক্রি আয় করতে পারেন।
৪। ডিজিটাল প্রোডাক্টঃ যে প্রোডাক্ট গুলো সার্ভিস রিলেটেড। যেমন, ই-বুক, অনলাইন কোর্স। এগুলো আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন।
৫। কনসালটেন্সিঃ আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ের জন্য কনসালটেন্সি দিতে পারেন। এর বিনিময়ে চার্জ করতে পারেন। যা অতিরিক্ত টাকা আয়ে সহযোগিতা করবে আপনাকে।
৬। এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনার ব্লগের মধ্যে অন্যের প্রোডাক্টের লিংক দিয়ে সেল করা হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনার ব্লগে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে যত গুলো প্রোডাক্ট বিক্রি হবে, সেই অনুযায়ী আপনার নির্দিষ্ট কমিশন দেওয়া হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় হলো আমাজন।
৭। গেস্ট ব্লগিংঃ কোনো ব্লগার আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল ফ্রিতে লিখে দিবে, আর সেখানে সেই ব্লগার তার ওয়েবসাইটের কোনো আর্টিকেলের লিংক দিয়ে দিবে। এর জন্য আপনি অল্প চার্জ করতে পারেন।
৮। পেইড রিভিউঃ টাকার বিনিময়ে আপনি কোনো প্রতিষ্ঠান, কোম্বা ব্যক্তির যেকোনো কিছুকে নিয়ে রিভিউ লিখে আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পারেন।
৯। পেইড আর্টিকেলঃ আপনি কোনো কোম্পানি, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার বিনিময়ে চার্জ করতে পারেন। এছাড়াও আপনার যখন ব্লগ থাকবে এবং ব্লগ থেকে আয় হবে তখন বুঝবেন আপনি একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার। তখন চাইলে আপনি কন্টেন্ট বা আর্টিকেল বিক্রি করতে পারবেন।
১০। অনলাইন শপঃ ব্লগিং এর পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটে অনলাইন শপের জন্য একটা পেইজ ।ক্রিয়েট করতে পারেন। যেখানে আপনার সকল পণ্য বা সার্ভিস সেল করতে পারবেন। এছাড়াও এফিলিয়েট লিংক গুলোও সেখানে দিতে পারেন।
ফ্রি ব্লগ থেকে আয়
ব্লগার ডট কমের মাধ্যমে তৈরি করা ওয়েবসাইটকে বলা হয় ফ্রি ব্লগ। সেখানে সাব ডোমেইন ফ্রিতে দেয় গুগল এবং হোস্টিংও ফ্রিতে দেয় গুগল। মানে সবকিছু ফ্রি। সেখানেও ব্লগ লিখে মনিটাইজ করে আয় করতে পারেন। তবে ফ্রি ব্লগিং না করাই ভালো। প্রাথমিক অবস্থায় শেখার জন্য করতে পারেন।
বাংলা ব্লগ লিখলে প্রত্যেক মাসে কত টাকা আয় করা যাবে
বাংলা ব্লগ লিখে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যাবে। ওয়েবসাইটে প্রতি এড দেখানোর জন্য গুগল $০.০১ থেকে $৫০ পর্যন্ত দিয়ে থাকে। মূলত গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় এডে ক্লিকের উপর নির্ভর করে।
ব্লগ লিখে আয় করার পাঁচটি সহজ উপায়
ব্লগ লিখে আয় করার পাঁচটি সহজ উপায় হলোঃ
- এডসেন্স বিজ্ঞাপন
- লোকাল বিজ্ঞাপন
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- আর্টিকেল বিক্রি করে
- নিজের পণ্য বিক্রি করে
১। এডসেন্স বিজ্ঞাপনঃ আপনার ব্লগের জন্য গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলে নিন। এরপর আপনার ব্লগ সাইটেরর জন্য গুগুল এডসেন্সের আবেদন করুন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি এডসেন্স পেয়ে যাবেন। তখন থেকে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এড দেখাবে। আর সেই এড দেখানোর ফলে আপনার আয় হবে।
গুগল এডসেন্স থেকে কতো টাকা আয় হয়?
ওয়েবসাইটে প্রতি এড দেখানোর জন্য গুগল $০.০১ থেকে $৫০ পর্যন্ত দিয়ে থাকে। মূলত গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় এডে ক্লিকের উপর নির্ভর করে।
২। লোকাল বিজ্ঞাপনঃ বিভিন্ন কোম্পানির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এই ইনকাম টা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি যত টাকার কন্ট্রাক্ট করবেন ততই আয় হবে।
৩। এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনার ব্লগের মধ্যে অন্যের প্রোডাক্টের লিংক দিয়ে সেল করা হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনার ব্লগে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে যত গুলো প্রোডাক্ট বিক্রি হবে, সেই অনুযায়ী আপনার নির্দিষ্ট কমিশন দেওয়া হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় হলো আমাজন।
৪। আর্টিকেল বিক্রিঃ আপনার যখন ব্লগ থাকবে এবং ব্লগ থেকে আয় হবে তখন বুঝবেন আপনি একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার। তখন চাইলে আপনি কন্টেন্ট বা আর্টিকেল বিক্রি করতে পারবেন।
৫। নিজের পণ্য বিক্রিঃ আপনার ব্লগে আপনি নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে একটা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বানিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, অনলাইন ইনকাম ও যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের সাইটে দেওয়া অন্য আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন। শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যদেরও জানার সুযোগ করে দিতে পারেন, ধন্যবাদ।
খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url