NFT কী? NFT কিভাবে কাজ করে?
NFT কী?
NFT এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Non Fungible Token.
NFT হলো এক ধরনের ইউনিক ডিজিটাল অ্যাসেট যা নির্দিষ্ট পণ্যের মালিকানার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। Non Fungible বলতে কোন পণ্যের অপরিবর্তনীয় অবস্থাকে নির্দেশ করে যা একই মূল্যের অন্য পণ্যের সাথে বিনিময় করা যায় না। কারণটা হচ্ছে উভয় পণ্যের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সাধারনভাবে বলতে গেলে NFT কোন নেটওয়ার্কের অধিভুক্ত করে ট্রেড করা যায় না। এগুলোর মূল্যে নির্ধারন হয় এগুলোর অনন্যতা ও ক্রেতার বিষয়ভিত্তিক মূল্যে প্রদান করা থেকে।
NFT ব্লকচেইনে সংরক্ষন করা থাকে তাই এগুলো সহজে কপি/এডিট করা/মুছে ফেলা যায় না।
NFT কীভাবে কাজ করে?
NFT ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। তাই NFT একটি বিকেন্দ্রীভূত লেজার প্রদান করে যা লেনদেন ও মালিকানার সমস্থ তথ্য জমা করে রাখে। এটি কখনো পরিবর্তন করা যায় না বিদায় এর মালিকানার সমস্থ তথ্য যেকোনো সময় শনাক্ত করা যায়। এই বিকেন্দ্রীভূত লেজার NFTএর সততা ও বৈধতা সর্বদা যাচাই করে থাকে।
NFT (Non Fungible Token)- কি, কেন এবং কীভাবে- NFT কী বিটকয়েন থেকেও ক্ষমতাবান?- Khalid Farhan
NFT এর আরো একটি প্রযুক্তি হচ্ছে স্মার্ট কন্ট্রাক্ট। এই স্মার্ট কন্ট্রাক্টের কাজ হচ্ছে প্রতিটা NFT এর প্রাসঙ্গিক শর্ত স্বয়ংক্রিয়করণ ও প্রয়োগের মাধ্যমে মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই NFT তৈরি করা, পরিচালনা করা এবং আদান-প্রদান করা।
প্রতিটা টোকেনে স্ট্যান্ডার্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে NFT এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক। NFT টোকেন স্ট্যান্ডার্ড এর কাজ হচ্ছে NFT তৈরি, NFT পরিচালনা এবং NFT ট্রান্সাফার করার কতিপয় নিয়ম ও ফাংশন নির্ধারণ করা এবং বিভিন্ন প্লাটফর্ম জুড়ে অভ্যন্তরীন কার্যক্ষমতা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা। উদাহরণস্বরূপ হিসেবে বলা যায় NFT-এর জন্য সবচেয়ে বেশি গৃহীত টোকেন স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে ইথেরিয়াম-এ ERC-721 এবং BNB ব্লকচেইনে BEP-721।
মিন্টিং রেফার করা হয় NFT তৈরির প্রক্রিয়ায়। মিন্টিং রেফার হচ্ছে স্মার্ট কন্ট্রাক্ট ব্যবহার করে ব্লকচেইনে যেই প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল ফাইলকে ডিজিটাল অ্যাসেটের রূপান্তর করা হয় তাকে বুঝায়। NFT কেনার সময় আমরা সাধারণত যেই নির্দিষ্ট ডিজিটাল অ্যাসেটের সাথে টোকেন আইডির মালিকানা অর্জন করি তা দিয়ে NFT-এর ব্যবহার, প্রদর্শন ও ইন্টারঅ্যাক্ট করার বিশেষ অধিকার অর্জন করে থাকে।
এনএফটি কী, এর ব্যবহার কেন বাড়ছে?NFT- Jamuna Television
NFT কী কী কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে?
বর্তমানে NFT ডিজিটাল বিশ্বে ব্যক্তির মালিকানা ও মূল্য নির্ধারনের অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসছে যা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই নতুনভাবে ভাবতে সহায়তা করছে। তাই আজকে আমরা কিছু প্রচলিত NFT অ্যাপ্লিকেশান নিয়ে আলোচনা করবো। নিম্নে তা বিস্তারিত বর্ণনাসহ দেওয়া হলোঃ-
১। NFT- গেমসঃ
NFT-গেম গুলো হচ্ছে ডিজিটাল কালেক্টিবল যেমন ইন-গেম আইটেম এবং ক্যারেক্টার। গেম এর মধ্যে চাইলে প্লেয়াররা ট্রেড করতে পারে। কেননা, NFT এমন একটি রিয়েল এস্টেটের প্রতিনিধিত্ব করে যার মাধ্যমে প্লেয়াররা তাদের NFT-দিয়ে ট্রেড করে নিজেদের ভলিউম উন্নত করতে পারবে। এর মধ্যে এমন একটি পদ্ধতি দেওয়া রয়েছে যার মাধ্যমে প্লেয়াররা তাদের এচিবমেন্ট ও এসেট নগদ উত্তলনের পাশাপাশি সেকেন্ডারি একটি মার্কেট তৈরি করতে পারবে।
২। NFT- আর্টঃ
আর্টিস্ট'রা NFT-আর্টের মাধ্যমে তাদের কাজগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পেয়েছে। তাদের আর্টগুলোকে ইউনিক ও ডিজিটাল কপি তৈরি করে টোকেন এর মাধ্যমে তা রক্ষা করতে পারবে। NFT-আর্টের মাধ্যমে তারা তাদের আর্টগুলোকে ভার্চুয়াল গ্যালারিতে প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্রি করা,ধার দেওয়া ও ট্রেড করতে পারবে।
NFT কী জিনিস? একে নিয়ে এতো মাতামাতি কেন?। Digital Art। NFT
৩। NFT- টিকিটিংঃ
যেকোনো টিকিট ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য NFT-টিকিট একটি চমৎকার ব্যবস্থা হতে পারে। বুঝিয়ে বলতে গেলে যেকোন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপকগণ NFT-টিকিটের মাধ্যমে তাদের আমন্ত্রীত মেহমানদের সততা যাচাই করতে পারবে।
৪। NFT- স্ট্যাকিংঃ
NFT-স্ট্যাকিং হলো NFT-হোলডাররা তাদের নিজস্ব NFT-টোকেন গুলো ডিজিটাল ব্লকচেইনের মাধ্যমে স্ট্যাক করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবে।
প্রিয় পাঠক, অনলাইন সম্পর্কিত সকল তথ্য সবার আগে পেতে আমদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।
খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url