দলে ফিরছেন তামিম, নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ২০০৭ সালে এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় বর্তমান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। একই সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটেও অভিষেক ঘটে তার। ১৯৮৯ সালের ২০মার্চ তিনি চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করে। চাচা আকরাম খান ও বড় ভাই নাফিস ইকবাল খানের পরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এক অন্যতম খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসরের পরে তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান।
তামিম ইকবাল খানের ওডিআই বা এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে অবসরের ঘোষণাঃ
৮ই মার্চ ২০২০ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি।
১৭ই জুলাই ২০২২সালে তামিম ইকবাল খান নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে ঘোষনা দেন যে তিনি আর
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলায় আর অংশ গ্রহণ করবেন না।
৫ই জুলাই ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের সাথে এক দিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের ১ম ম্যাচ বাংলাদেশ বৃষ্টি আইনে ১৮রানে হেরে যায়। ৬জুলাই চট্টগ্রামে প্রেস কংফারেন্স ডেকে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাতীয় দলের হয়ে আবার মাঠে নামবেন তামিমঃ
৬ই জুলাই ২০২৩সালে বাংলাদেশের এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান আন্তর্জাটিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলে ক্রিকেট প্রেমিরা তা মানতে নারাজ। এই নিয়ে তামিম ভক্তদের মধ্যে অনেক রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ৭ই জুলাই প্রধানমন্ত্রী তাকে নিজ ভবনে আমন্ত্রণ জানায়। তামিম সেখানে সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি ও ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন কে সঙ্গে নিয়ে যান। প্রায় তিন ঘন্টা পরে প্রধানমন্ত্রীর শেষে তামিম জানান "অসবের সিদ্ধান্ত তিনি প্রত্যাহার করছেন এবং মানুষিক ভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে দেড় মাসের ছুটি দিয়েছে। ছুটি শেষে তিনি এশিয়া কাপে অধিনায়ক হিসেবেই যোগ দিবেন।"
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে তামিম ইকবালের কিছু অবদানসমূহঃ
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ইকবাল প্রথম ক্রিকেটার যার ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই শতক রান রয়েছে এবং দশ হাজার রানের মাইল ফলক স্পর্শ করেন।
ইউজেন ক্রিকেটার্স অ্যালামনাকে ২০১১ সালে তামিম ইকবাল খান বর্ষসেরা ৪ ক্রিকেটারের মধ্যে অন্যতম হন এবং সেই সাথে ২য় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ফরম্যাটে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তামিমের অসাধারন ব্যাটিং এর কারণে বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করে যা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সব থেকে বড় টেস্ট জয়। সেই ম্যাচে তামিম ইকবাল ১২৮ রানের পাশাপাশি অসাধারণ নৈপূণ্যের জন্য ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরষ্কার জিতেন।
২০১৫ সালে খুলনার আবু নাসের স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে ইমরুল কায়েসকে সাথে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৩১২ সানের এক বিশাল পার্টনারশী তৈরি করেন যা ২য় সর্বোচ্চ রানের জুটি হয়। সেই ম্যাচে তিনি ২০৬ রান করে মুশফিকুর রহিমের করা ২০০ রানের রেকর্ড ভেঙ্গে নিজের দখলে নিয়ে নেন।
খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url