পেট সুস্থ রাখার ৫টি উপায়
ভালোভাবে বাঁচার জন্য মন ও শরীর যেমন সুস্থ রাখা উচিত তেমনি পেটকে ও সুস্থ রাখতে হবে। অনেকে আছেন যাদের সারা বছরই পেটের সমস্যা লেগেই থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন পেট ঠিক রাখতে পারলেই পুরে শরীরই ভালো থাকে। পেট সুস্থ না থাকলে কিছুই ভালো লাগে না। আর এর প্রভাব পরে আমাদের প্রতিদিনের কাজ কর্মের উপর । মেজাজ খিট খিটে হয়ে যায়। জীবনের ধারার কিছু অনিয়মকে প্রত্যাহার করে কিছু নিয়ম মেনে এই সমস্যার প্রতিরোধ করা যায়।
এমন পাঁচটি(৫) সহজ উপায় জেনে নিনঃ-
১। নিয়মিত প্রচুর পানি পান করতে হবেঃ-
কারন, পেট সুস্থ রাখতে হলে এর প্রথম শর্ত হচ্ছে হজমশক্তি ঠিক রাখতে হবে। হজমশক্তি ভালো রাখতে গেলে প্রচুর পানি পান করতে হবে।
আমাদের শরীরে ৭০ ভাগই পানি। আর এই শরীরের একটা অংশ হলো পেট। একজন মানুষ সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই দৈনিক ৩ লিটার পানি পান করতে হবে। তার সাথে খাদ্য তালিকায় এমন কিছু সবজি ফল রাখতে হবে যাতে এগুলো থেকেও শরীরে পানির যোগান সঠিক পরিমান হয়। ফলে পাচনক্রিয়া সক্রিয় থাকে। খাবারও ঠিকমতো হজম হবে।
২। ধূমপান ছাড়তে হবেঃ-
কারন, ধূমপান করলে মানুষের খাদ্য নালী নিচের অংশের পেশি দূর্বল হয়ে যায়। যার ফলে পাকস্থলীর এসিড উল্টোপথে খাদ্য নালী দিয়ে উপরের দিকে আসতে পারে। যার ফলে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে পাকস্থলীর আলসার ও পরিপাক নালীর বিভিন্ন অংশে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ধূমপানের কারনে পাকস্থলীর ব্যাথা হওয়ার ঝুকিও বেড়ে যায়। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
৩টি সহজ উপায়ে পেট পরিষ্কার রাখুন-
৩। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও জাংক ফুড এড়াতে হবেঃ-
কারন, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও মসলার খাবার পেটে সমস্যা করতে পারে। আর বাহিরের জাংক ফুড শরীরের নানা ক্ষতি করে৷ এধরনের খাবারে থাকে অতিরিক্ত তেল, মসলা, যা পেটের নানা রকম সমস্যা করতে পারে। তাই এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৪। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করতে হবেঃ-
কারন, দৈনন্দিন জীবনে আমারা নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। এই ব্যস্থতার কারণে আমাদের খাওয়া-দাওয়া সময়মতো হয় না। নিয়মিত খাবার না খাওয়ার কারনে যা পরিপাকতন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কারন খাওয়ার সময় শরীরে এক ধরনের উংসেচক বের হয়। যা নিদিষ্ট সময় মতো খেলে যা খাবার হজমে সহায়তা করে।
কিন্তু আমরা যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে খাবার খাই তাহলে এই সুবিধা মেলে না যার ফলে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই সময়মতো খাবার খেতে হবে। রাতে শোয়ার আগে ভারি বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না কমপক্ষে ২-৩ ঘন্টা আগে খাবার খেতে হবে। আর খাবার খাওয়ার সময় তারাহুরো করা যাবে না।
সকালে পেট ঝড়ের গতিতে পরিষ্কার হবে এটি এক বার সেবন করলে-
৫। মদপান থেকে বিরক্ত থাকতে হবেঃ-
কারন, অতিরিক্ত মদ্যপান৷ করলে পাকস্থলীর এসিড উৎপাদন পরিমান বেড়ে যায়। ফলে বুক জালাপোরা ও হজম সমস্যা দেখা দেয়। তাই মদ্যপান করা কমিয়ে ফেলতে হবে সম্ভব হলে একেবারে ছেড়ে দিতে হবে। ভুলেও মদ্যপান করা যাবে না।
এছাড়াও পাকস্থলী সুস্থ রাখতে আশযুক্ত খাবার খেতে হবে। খাবারে আশ বেশি থাকলে আমাদের শরীর তা সহজে গ্রহন করে। পাশাপাশি পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। বিভিন্ন রকম শাক-সবজি ফলে এই খাদ্য উপাদান ভালো পরিমানের থাকে।
এছাড়া হজমশক্তি ভালোরাখতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।বিভিন্ন গবেষনা জানা গেছে যে অ্যালোভেরা জুস অন্ত্রে পানি মল পরিস্কার করতে সাহায্য করে যা আমাদের পেটের জন্য উপকারী। ইসবগুলও পেট সুস্থ ও পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। অন্তত প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ইসবগুল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে সকাল সকাল পেট হালকা হয়ে যাবে।
-সাদিয়া ইসলাম
খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url