গরুও বেশি, দামও বেশি। কারণ কি?

এবছর কুরবানির পশুর মজুত গতবছরের তুলনায় বেশি। কিন্তু দামও বেশি। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশুর দাম বেড়ে গেছে। গতবছরের তুলনায় এই বছর গরুর দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ।

এদিকে অনলাইনে গরু বেচাকেনা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনকি বিক্রিও হচ্ছে ভালো। তবে হাটকেন্দ্রিক ব্যবসা জমজমাট হয় নি এখনো। ব্যবসায়ীদের মতে শহরে পশুর হাট জমজমাট হয়ে থাকে ঈদের ঠিক আগে দিয়ে।

বিডিএফএ (বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশন) বলছে এই বছর পশু বিক্রির হার গতবছরের তুলনায় বাড়বে কিছুটা। আর অপরদিকে অর্থনীতিতেও একটা চাপ আছে। মানুষ খরচ কমাতেও পারে। সেজন্য ব্যবসায়ীরা শঙ্কার মধ্যে আছে।

ব্যবসার বেচাকেনার অবস্থা দেখতে ঈদের আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ব্যবসায়ীদেরকে। কারণ ঈদের পূর্ব মুহূর্তেই পশু বেচাকেনা বেশি হয়। আর এই বছর তো ৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। এর উপর দাম বাড়বেনা বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১কোটি ২৫লাখ ৩৬হাজার ৩৩৩টি। গতবছরের থেকে এই বছর ৪লাখ ১১হাজার ৯৪৪টি পশু বেশি। এমনকি এই বছর পশুর সম্ভাব্য চাহিদা আছে ১কোটি ৩লাখ ৯৪হাজার ৭৩৯টি। সম্ভাব্য অনুযায়ী কোরবানির পরও দেশে ২১লাখ ৪১হাজার ৫৯৪টি পশু অবশিষ্ট থেকে যাবে।

চলতি বছরে গোখাদ্যের দাম ৩০ শতাংশ, পানি-বিদ্যুৎ বিলও বেড়েছে। যার ফলে ৫শতাংশ দাম বেড়েছে।

বড় বড় খামারিদের অভিযোগ হলো, যেখানে গতবছর এই সময়ে পশু বিক্রি শেষ হয়ে গিয়েছিলো, সেখানে এ বছর এখনো বিক্রি হয়নি। তাদের ভাষ্যমতে ঈদের পূর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাছাড়া ভালো দাম না পেলে গরু বিক্রি করবেনা।

ক্যাশলেস হাটঃ

সময়ের ব্যবধানে বর্তমানে দেশ অনেক আপডেট হচ্ছে। এ বছর দেশে ১০ টি স্মার্ট হাট বসবে। যেখানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে বুথ বসাবে সরকার।

অনলাইন হাটঃ

মূলত করোনার পর থেকে মানুষ অনলাইন হাটের প্রতি নজর দিয়েছে বেশি। বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পশুর অনলাইন হাট। অনেক খামারি জানিয়েছে যে, এখন অবধি তাদের অর্ধেক পশু ফেসবুকের মাধ্যমেই বিক্রি হয়ে গেছে। শীগ্রই সব পশু বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।

বিডিএফএ বলছে যে শহরকেন্দ্রিক খামারের প্রায় ৬০ শতাংশ পশু ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গিয়েছে। এবার গরুর তুলনায় খাসি অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। অনলাইনের তুলনায় হাটে এসে গরু কেনার চাহিদা বেশি।


এবারের পশুর হিসাবঃ

গরু-মহিষ ৪৮লাখ ৪৩হাজার ৭৫২টি, ছাগল-ভেড়া ৭৬লাখ ৯০হাজার, অন্যান্য পশু ২হাজার ৫৮১ টি।


দ্রষ্টব্যঃ আসছে ২৯ শে জুন বৃহস্পতিবার ঈদ'উল আযহা উপলক্ষে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা রইল "ঈদ মোবারক"।

-নাহিদুল ইসলাম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url