ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম? কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়!
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম? কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়!
ব্যাংক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে লাভের বিনিময়ে অর্থ-সম্পত্তি সংগ্রহ করে এবং মুনাফা অর্জনের নিমিত্তে বিনিয়োগ করে থাকে। জীবন পরিচালনায় আমাদের প্রত্যকের ব্যাংক একাউন্ট থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমরা আপনাদেরকে ব্যাংক একাউন্ট খোলা সম্পর্কে জানাবো।
যেকোনো ব্যাংকে একাউন্ট খোলতে যা যা লাগবে তা নিয়েই আজকে আমাদের আলোচনা। নিম্নোক্ত সকল ডকুমেন্টস সকল ব্যাংকের একাউন্ট খোলার জন্য প্রযোজ্য।
ব্যাংক একাউন্ট খোলতে কি কি লাগেঃ
১। ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স।
২। ব্যক্তির দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
৩। নমিনি হওয়া ব্যক্তির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
৪। নমিনি হওয়া ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ কপি।
৫। নমিনি হওয়া ব্যক্তি অবশ্যই বাংলাদেশি হতে হবে।
ব্যাংক একাউন্টের প্রকারভেদঃ
১। কারেন্য একাউন্ট
২। সেভিংস একাউন্ট
৩। রিকারিং ডিপোজিট একাউন্ট
৪। ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট
**সম্মানিত পাঠক একটি বিশেষ তথ্য - ব্যাংক একাউন্ট খোলতে কতো টাকা লাগে? উত্তর- ব্যাংক একাউন্ট খোলতে কোনো টাকা লাগে না।**
ব্যাংক একাউন্ট খোলতে কি কি লাগে?
১ঃ কারেন্ট একাউন্টঃ
যেকোনো প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষ কারেন্ট একাউন্ট খোলে থাকে। কারেন্ট ব্যাংক একাউন্টের জন্য ব্যাংক থেকে মুনাফা বা সুদ প্রদান করা হয়না
২ঃ সেভিংস একাউন্টঃ
সেভিংস একাউন্ট হলো সঞ্চয় কেন্দ্রিক। মূলত সঞ্চয়ের উদ্যেশ্য সেভিংস একাউন্ট খোলা হয়। যেকোনো প্রাপ্ত বয়ষ্ক বা যোথ নামে এই একাউন্ট খোলা যায়। সেভিংস একাউন্টে রাখা টা7কার জন্য ব্যাংক থেকে মুনাফা বা সুদ প্রদান করা হয়।
৩ ও ৪ঃ রিকারিং ডিপোজিট একাউন্ট এবং ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট
রিকারিং ডিপোজিট একাউন্ট এবং ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট মূলত প্রায় একই। এই দুটি একাউন্ট করা হয় মূলত একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রাখার জন্য।
সম্মানিত পাঠক, মুনাফা বা সুদ দেওয়া নেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় আইন দেখে নিবেন। আপনার সুদ সম্পর্কিত পাপের জন্য আমরা দায়ী থাকব না। ধন্যবাদ আপনাকে। আমাদের আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল গুলো পড়ে আসার দাওয়াত রইলো।
খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url