অভ্র কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটার, মোবাইলে বাংলা লেখার নিয়ম

আমরা বাঙ্গালী, বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে কেবল এই একটি জাতি। শুধু প্রাণ দিয়েই ক্ষ্রান্ত হয়নি। বাংলা ভাষাকে নিয়ে গেছে বিশ্ব দরবারের নিজস্ব স্থানে যার অকাট্য প্রমাণ বহন করছে বাংলা মুদ্রণ শিল্পের বিকাশ। ৫০ বছরের বেশি সময়ে তিনটি আলাদা যুগ পার করে নবজাগরনের যুগ পর্যন্ত বাংলা ডিজিটাল মুদ্রণ শিল্পের ক্রমবিকাশ ছিলো চোখে পড়ার মতো। মুনীর টাইপিং লে-আউট থেকে এখন অভ্র কিবোর্ড লে-আউট পর্যন্ত শুধুই উর্ধ্বমূখী অগ্রগতি। মাইক্রোসফট, ম্যাক ওএস এবং লিনাক্স কম্পিউটারের প্রতিটি অপারেটিং সিষ্টেমের জন্য ওমিক্রনল্যাব কর্তৃক বিকশিত বাংলা টাইপিং আধুনিক সফটওয়্যার অভ্র কিবোর্ড যা  মুক্ত ও উন্মুক্ত উৎসের একটি গ্রাফিক্যাল কী-বোর্ড সফটওয়্যার।

এই আর্টেকটিতে অভ্র কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারে এবং মোবাইলে বাংলা লেখার নিয়ম সম্পর্কিত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। যেমন- অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার নিয়ম, কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহারের নিয়ম, মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করার নিয়ম, অভ্র দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম, অভ্র কিবোর্ড যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম, অভ্র যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম, অভ্র কিবোর্ড রেফ লেখার নিয়ম, মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার, মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড লেখার নিয়ম, মোবাইলে রেফ লেখার নিয়ম, পরিশেষে থাকছে- অভ্র কিবোর্ড বাংলা লেখার নিয়ম pdf ফাইল যা আপনারা ডাউনলোড করে নিজেদের অনুশীলনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং ইত্যাদি আরও বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হবে। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি অভ্র কিবোর্ড দিয়ে বাংলা লেখায় একজন দক্ষ টাইপার হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করাতে পারবেন। তাই আপনাকে অনুরোধ করছি আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন এবং অনুশীলন করুন। 

এক নজরে সূচীপত্রঃ 

  • কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহারের নিয়ম 
  • অভ্র দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম 
  • বাংলা বর্ণমালা লেখার নিয়ম 
  • অভ্র যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম 
  • অভ্র কিবোর্ড যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম 
  • অভ্র কিবোর্ড রেফ লেখার নিয়ম 
  • কম্পিউটারে অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার নিয়ম ব্যবহারের কিছু সমস্যা 
  • মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার 
  • মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড লেখার নিয়ম 
  • মোবাইলে রেফ লেখার নিয়ম 
  • অভ্র কিবোর্ড বাংলা লেখার নিয়ম pdf 

কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহারের নিয়ম 

অভ্র একটি মুক্ত সফটওয়্যার। কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড সম্পূর্ণ ফ্রি তে ডাউনলোড করে ব্যবহার করার যায়। তাই কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করতে হলে প্রথমেই আপনাকে অভ্র কিবোর্ড সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। অভ্র কিবোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- omicronlab.com এ প্রবেশ করে অভ্র কিবোর্ডের সফট অথবা পোর্টেবল আপনার পছন্দমতো যেকোন একটি ভার্সন ডাউনলোড করে নিন। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে সরাসরি কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড-এর সর্বশেষ ভার্সনটি ডাউনলোড করার বাটন যুক্ত করা হলো। যেখানে ক্লিক করে আপনি সহজে অভ্র কিবোর্ডটি ডাউনলোড করে আপনার কম্পিউটারে ব্যবহার করতে পারবেন। 

ডাউনলোড করার পরে আপনার কম্পিউটারে অন্যসব সফটওয়্যারের মতোই অভ্র ইনস্টল করে নিতে হবে। ইন্সষ্টল হওয়ার পরে আপনার ডিভাইসটি একটি রি-ষ্টার্ট চাইতে পারে। আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী রি-ষ্টার্ট করতে পারেন অথবা না ও করতে পারেন। এবার আপনি আপনার কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন দেখে নেই, কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহারের নিয়ম। 

  • আপনার কম্পিউটার চালু হবার পরে একটি অভ্র থাম্বনিল পপ আপ অথবা ফ্ল্যাশ স্ক্রিন আসবে। 

উপরে প্রদর্শিত ফ্ল্যাশ স্ক্রিনটি এক দুই সেকেন্ডের মধ্যে চলে যাওয়ার পরে, কম্পিউটারে অভ্র চালু হয়ে যাবে। 

  • আপনার কম্পিউটারের ডিসপ্লে উইন্ডো স্ক্রিনের ডান দিকে কোনায় একটি অভ্র বার দেখতে পাবেন। 

এই অভ্র টুল বারটি দিয়ে অভ্র কিবোর্ডের সমস্ত সেটিংস আপনি আপনার পছন্দমতো পরিচালন করতে পারবেন। কম্পিউটারে অভ্র ব্যবহারের নিয়ম হিসেবে এই বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 

কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড দিয়ে বাংলা লেখার জন্য আপনাকে প্রথমে কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ডে বাংলা ভাষা চিহ্নিত করতে হবে। 

উপরের ছবিতে লাল রং দ্বারা নির্দেশিত স্থানে ক্লিক করে আপনি অভ্র কিবোর্ডে লেখার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলা এবং ইংরেজি ভাষা নির্ধারন করতে পারবেন। ভাষা নির্ধারন করার জন্য লাল চিহ্নিত স্থানে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করবেন অথবা কিবোর্ডের F12 বাটনে প্রেস করবেন। তারপর আপনি  কম্পিউটারে অভ্র দিয়ে যেখানে ইচ্ছা বাংলা লিখতে পারবেন। যেমন- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, ইমেইল, ব্লগার, ফেসবুক ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে নিজের ইচ্ছে মত বাংলা লিখতে পারবেন। 

অভ্র দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম 

অভ্র কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা ফোনেটিক ব্যবহার করে লেখা খুবই সহজ। আপনি আপনার ইংরেজি টাইপিং দক্ষতা ব্যবহার করে খুব সহজে বাংলাও লিখতেও পারবেন। যেমন- আপনি যদি লিখতে চান "আমাদের মাতৃভাষা বাংলা" তাহলে আপনাকে অভ্রতে ইংরেজি অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে "amader matrri bhaSHa bangla" সুতরাং আপনি বুঝতেই পারছেন অভ্র কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম কতটা সহজ। 

অভ্র কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম হিসেবে একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো যা অনেকেই এড়িয়ে যায়। কিছু বাংলা শব্দ রয়েছে যা আমরা সচরাচর মৌখিকভাবে ব্যবহার করি না কিন্তু লিখিত ভাষায় ওই শব্দগুলোর ব্যবহার প্রয়োজন তাই সেই শব্দগুলোর বানান ভুল হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য রয়েছে অভ্র কিবোর্ডের নিজস্ব সাজেশন প্রিভিউ উইন্ডো যেখান থেকে আপনি আপনার শব্দের বানান বিষয়ক জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। 

উদাহরণ স্বরুপ, উপড়ের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি লেখ্য শব্দ যা আমরা কথ্য ভাষায়  সচরাচর ব্যবহার করিনা। অপস্রিয়মাণ মানে হচ্ছে ক্রমশ দূরে চলে যাওয়া - অভ্র দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার সময় এই শব্দটির শেষে দন্ত-ন এবং মূর্ধ্য-ণ বিষয়ক একটি বিভ্রান্তি তৈরী হতে পারে। কিন্তু দেখুন অভ্র সাজেশন প্রিভিউ আপনাকে সঠিক শব্দটি প্রদর্শন করছে। এই ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি নির্ভুল বাংলা লিখতে পারবেন। 

অভ্র কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম 丨বাংলা বর্ণমালা লেখার নিয়ম 

আশাকরি আপনারা এটা বুঝে গেছেন যে অভ্র দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখা কতটা সহজ। ইংরেজি অক্ষর দিয়ে যেভাবে বাংলা স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জণবর্ণ প্রকাশ করছেন বা লিখছেন ঠিক সেভাবেই আপনাকে অভ্র দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লিখতে হবে। যেমন- (ক) লিখতে লিখতে হলে আপনাকে শুধু (k) টাইপ করতে হবে, (খ) লিখতে হলে টাইপ করতে হবে (kh) ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু বর্ণ লিখতে সমস্যা হয় যেমন- (ষ) ইংরেজিতে লেখার সময় আমরা (sh) লিখে থাকি কিন্তু (sh) দিয়ে (শ)-ও বুঝায়। তাই এই ধরনের জটিলতে এড়ানোর জন্য অভ্র কিবোর্ড তাদের নিজস্ব একটি কিবোর্ড ম্যাপ সরবরাহ করেছে। সেই অভ্র ফোনেটিক কি বোর্ড ম্যাপটি দেখলে আপনি সবগুলো স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ লেখার কিবোর্ড বাটন পেয়ে যাবেন। 

পূর্বেই বলেছি অভ্র টুল বারটি ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অভ্র কিবোর্ড চালনা করতে পারবেন। উপড়ের ছবিতে অভ্র টুল বারে লাল চিহ্নিত স্থানে ক্লিক করলে আপনি অভ্র বিল্ট ইন কিবোর্ড ম্যাপটি দেখতে পাবেন। এই কিবোর্ড ম্যাপটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই বাংলা বর্ণমালা এবং কার চিহ্নগুলো লিখতে পারবেন। 

অভ্র কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম 丨অভ্র যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম  

অভ্র কিবোর্ড আমাদের জন্য বাংলা যুক্তবর্ণ লেখা খুবই সহজ করে দিয়েছে। অভ্র যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো অভ্র কিবোর্ডের সয়ংক্রিয় পদ্ধতি। অভ্র দিয়ে যুক্ত বর্ণ লেখার জন্য আপনাকে আলাদা করে কোন কিবোর্ডের বাংলা বর্ণমালা মুখস্ত করতে হবে না। আগের মতোই ইংরেজি কিবোর্ড ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই অভ্র দিয়ে যুক্তবর্ণ লেখা হয়ে যাবে। তবে কিছু যুক্তবর্ণ আছে যেগুলো আপনাকে ম্যানুয়ালি মানে বানান জেনে লিখতে হবে সেগুলো লেখার জন্য প্রথমে আপনাকে আলাদা আলাদা বর্ণের কি-ওয়ার্ডগুলো ভালোভাবে আয়ত্ব করতে হবে।আমাদের যে যুক্তবর্ণ গুলো প্রতিনিয়ত কাজে লাগে নিচে এমন কিছু যুক্তবর্ণ উদাহরণ দেওয়া হলো। অভ্র যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম অনুযায়ী নিন্মে উল্লেখিত শব্দগুলোর সঠিক বানান ইংরেজি কি-ওয়ার্ডের সাথে মিলিয়ে খুব ভালোভাবে কয়েবকার অনুশীলন করলেই অভ্র দিয়ে যুক্তবর্ণ লেখায় কোন সমস্যা থাকবে না। 

অভ্র যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম

ক্ট = kT  যেমন: ডক্টর 
ক্ট্র = kTr যেমন: অক্ট্রয়
ক্ত = kt   যেমন: রক্ত
ক্ত্র = ktr  যেমন: বক্ত্র
ক্ন = kn; যেমন: বাচক্নবী
ক্ব = kw যেমন: পক্ব, ক্বণ
ক্ম = km যেমন: রুক্মিণী
ক্য = kZ যেমন: বাক্য
ক্র = kr  যেমন: চক্র
ক্ল = kl   যেমন: ক্লান্তি
ক্ষ = kkh যেমন: পক্ষ
ক্ষণ = kkhN যেমন অনেক্ষন
ক্ষ্ম = kkhm  যেমন: লক্ষ্মী
ক্ষ্ম্য = kkhmZ যেমন: সৌক্ষ্ম্য
ক্ষ্য = kkhZ যেমন: লক্ষ্য
ক্স = ks  যেমন: বাক্স
খ্য =khZ  যেমন: সখ্য
খ্র = khrr  যেমন: খ্রিস্টান
গ্‌ণ = g,,N যেমন - রুগ্‌ণ
গ্ধ = gdho যেমন: মুগ্ধ
গ্ধ্য = gdhZ যেমন: বৈদগ্ধ্য
গ্ধ্র = g,,dhr যেমন: দোগ্ধ্রী
গ্ন = gn  যেমন: ভগ্ন
গ্ন্য = gmZ  যেমন: অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়
গ্ব = gw যেমন: দিগ্বিজয়ী
গ্ম = gm যেমন: যুগ্ম
গ্য = gZ; যেমন: ভাগ্য
গ্র = gr; যেমন: গ্রাম
গ্র্য = grZ; যেমন: ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য, গ্র্যাজুয়েট
গ্ল = gl; যেমন: গ্লানি
ঘ্ন = ghn; যেমন: কৃতঘ্ন
ঘ্য = ghZ; যেমন: অশ্লাঘ্য
ঘ্র = ghr; যেমন: ঘ্রাণ
ঙ্ক = nk; যেমন: অঙ্ক
ঙ্ক্য = nkZ; যেমন: অঙ্ক্য
ন্ট্র = ntr; যেমন: কন্ট্রোল 
ন্ঠ = nThr; যেমন: লন্ঠন
ন্ড = nD; যেমন: গন্ডার, পাউন্ড
ন্ড্র = nDr; যেমন: হান্ড্রেড
ন্ত = nt; যেমন: জীবন্ত
ন্ত্ব = ntw; যেমন: সান্ত্বনা
ন্ত্য = ntZ; যেমন: অন্ত্য
ন্ত্র = ntr; যেমন: মন্ত্র
ন্ত্র্য = ntrZ; যেমন: স্বাতন্ত্র্য
ন্থ = nth; যেমন: গ্রন্থ
ণ্ড্য = nDZ; যেমন: পাণ্ড্য
ণ্ড্র = nDr; যেমন: পুণ্ড্র
ণ্ঢ = NDH; যেমন: ষণ্ঢ
ণ্ণ = NN; যেমন: বিষণ্ণ
ণ্ব = Nw; যেমন: স্থাণ্বীশ্বর
ণ্ম = Nm; যেমন: চিণ্ময়
ণ্য = NZ; যেমন: পূণ্য
ৎক = ``k; যেমন: উৎকর্ষ
ৎখ =``kh; যেমন: উৎখাত
ত্ত = tt; যেমন: উত্তর
ত্ত্র = t,,tr; যেমন: পুত্ত্র 
ত্ত্ব = ttw; যেমন: সত্ত্ব
ত্ত্য = ttZ; যেমন: উত্ত্যক্ত
ত্থ = ttth; যেমন: অশ্বত্থ
ত্ন = tm; যেমন: যত্ন
ৎপ = t``p; যেমন: উৎপল
ত্ব = tw; যেমন: রাজত্ব
ত্ম = tm; যেমন: আত্মা
ত্ম্য = tmZ; যেমন: দৌরাত্ম্য
ত্য = tZ; যেমন: সত্য
ত্র = tr যেমন: ত্রিশ, ত্রাণ
ত্র্য = trZ; যেমন: বৈচিত্র্য
ৎল = ``l; যেমন: কাৎলা
ৎস = ``s; যেমন: বৎসর, উৎসব
থ্ব = thw; যেমন: পৃথ্বী
থ্য = thZ; যেমন: পথ্য
থ্র = thr; যেমন: থ্রি (three) 
দ্গ = dg; যেমন: উদ্গম
দ্ঘ = dgh; যেমন: উদ্ঘাটন
দ্দ =dd; যেমন: উদ্দেশ্য
দ্দ্ব = ddw; যেমন: তদ্দ্বারা
দ্ধ =ddh; যেমন: রুদ্ধ
দ্ব = dw; যেমন: বিদ্বান
দ্ভ = dv; যেমন: অদ্ভুত
দ্ভ্র = dvr ; যেমন: উদ্ভ্রান্ত
দ্ম = dm; যেমন: ছদ্ম
দ্য = dZ; যেমন: বাদ্য
দ্র = dr; যেমন: রুদ্র
দ্র্য = drZ; যেমন: দারিদ্র্য
ধ্ন = dn; যেমন: অর্থগৃধ্নু
ধ্ব = dhw; যেমন: ধ্বনি
ধ্ম = dh,,; যেমন: উদরাধ্মান
ধ্য =dhZ; যেমন: আরাধ্য
ধ্র = dhr; যেমন: ধ্রুব
ন্ট = nT; যেমন: প্যান্ট 
ঙ্খ = nkh; যেমন: শঙ্খ
ঙ্খ্য = nkhZ; যেমন: সাঙ্খ্যমান
ঙ্গ = ngo; যেমন: অঙ্গ
ঙ্গ্য = ngoZ; যেমন: ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি
চ্চ = cc; যেমন: বাচ্চা
চ্ছ = cch + ছ; যেমন: ইচ্ছা
চ্ছ্ব = cchw; যেমন: জলোচ্ছ্বাস
চ্ছ্র = cchr; যেমন: উচ্ছ্রায়
চ্য = cZ; যেমন: প্রাচ্য
জ্জ = jj; যেমন: বিপজ্জনক
জ্জ্ব = jjw; যেমন: উজ্জ্বল
জ্ঞ = gg; যেমন: জ্ঞান
জ্ব = jw; যেমন: জ্বর
জ্য = jZ; যেমন: রাজ্য
জ্র = jr; যেমন: বজ্র
ঞ্চ = nc; যেমন: অঞ্চল
ঞ্ছ = nch; যেমন: লাঞ্ছনা
ঞ্জ = nj; যেমন: কুঞ্জ
ঞ্ঝ = ncjh; যেমন: ঝঞ্ঝা
ট্ট = TT; যেমন: চট্টগ্রাম
ট্ব = Tw; যেমন: খট্বা
ট্ম = T,,m; যেমন: কুট্মল
ট্য = TZ; যেমন: নাট্য
ট্র = Tr; যেমন: ট্রেন 
ড্ড = DD; যেমন: আড্ডা
ড্ব = D,,b; যেমন: অন্ড্বান
ড্ম = D,,m; যেমন: কুড্মল
ড্য = DZ; যেমন: জাড্য
ড্র = Dr; যেমন: ড্রাইভার, ড্রাম 
ঢ্য = DHZ; যেমন: ধনাঢ্য
ঢ্র = DHr; যেমন: মেঢ্র (ত্বক) 
ণ্ট = NT; যেমন: ঘণ্টা
ণ্ঠ = NTh; যেমন: কণ্ঠ
ণ্ঠ্য = NThZ; যেমন: কণ্ঠ্য
ণ্ড = ND; যেমন: গণ্ডগোল
ন্দ = nd; যেমন: ছন্দ
ন্দ্য = ndZ; যেমন: অনিন্দ্য
ন্দ্ব =ndw; যেমন: দ্বন্দ্ব
ন্দ্র = ndr; যেমন: কেন্দ্র
ন্ধ = ndh; যেমন: অন্ধ
ন্ধ্য = ndhZ; যেমন: বিন্ধ্য
ন্ধ্র = ndhrZ; যেমন: রন্ধ্র
ন্ন = nn; যেমন: নবান্ন
ন্ব = nw; যেমন: ধন্বন্তরি
ন্ম = nm; যেমন: চিন্ময়


অভ্র কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম 丨অভ্র কিবোর্ড যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম 

যুক্তাক্ষর এবং যুক্তবর্ণ একই জিনিস কিন্তু এই আর্টিকেলে আপনাদের মনে রাখার সুবিধা এবং অনুশীলনের সুবিধার্থে দুইটি আলাদা সেকশন তৈরী করা হয়েছে। অভ্র দিয়ে যুক্তাক্ষর লেখার বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে ইংরেজি কি ওয়ার্ড ব্যতীত অনুশীলন করার জন্য যে যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে সেগুলোকে। অভ্র যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম গুলো অনুশীলন করার জন্য উপড়ে কিবোর্ড কি ওয়ার্ড সহ প্রায় অনেকগুলো যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর দেওয়া আছে। এবার অভ্র যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম হিসেবে কিছু যুক্তাক্ষর ইংরেজি কিবোর্ড কি-ওয়ার্ড ব্যতীত দেওয়া হলো। সেগুলো আপনি অভ্র দিয়ে যুক্কতাক্ষর লেখার নিয়ম হিসেবে মনে রাখতে পারেন। নিন্মোক্ত বর্ণগুলো ইংরেজি কি ওয়ার্ড ব্যতীত দেওয়া হয়েছে যাতে করে লেখার অনুশীলন করলে অভ্র কিবোর্ড যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম গুলোতে আর কোন সমস্যা থাকবে না।

প্ট = প + ট; যেমন: পাটি-সাপ্টা, ক্যাপ্টেন 

প্ত = প + ত; যেমন: সুপ্ত

প্প = প + প; যেমন: ধাপ্পা

প্য = প + য; যেমন: প্রাপ্য

প্র = প + র; যেমন: ক্ষিপ্র

প্র্য = প + র + য; যেমন: প্র্যাকটিস 

প্ল = প + ল; যেমন:আপ্লুত

প্স = প + স; যেমন: লিপ্সা

ফ্র = ফ + র; যেমন: ফ্রক, ফ্রিজ, আফ্রিকা

ফ্ল = ফ + ল; যেমন: ফ্লেভার 

ব্জ = ব + জ; যেমন: ন্যুব্জ

ব্দ = ব + দ; যেমন: জব্দ

ব্ধ = ব + ধ; যেমন: লব্ধ

ব্ব = ব + ব; যেমন: ডাব্বা

ব্য = ব + য; যেমন: দাতব্য

ব্র = ব + র; যেমন: ব্রাহ্মণ

ব্ল = ব + ল; যেমন: ব্লাউজ

ভ্ব =ভ + ব; যেমন: ভ্বা

ভ্য = ভ + য; যেমন: সভ্য

ভ্র = ভ + র; যেমন: শুভ্র

ভ্ল = ভ + ল; যেমন: ভ্লাদিমি (মূলত রাশীয় শব্দে ব্যবহৃত হয়)

ম্ন = ম + ন; যেমন: নিম্ন

ম্প = ম + প; যেমন: কম্প

ম্প্র = ম + প + র; যেমন: সম্প্রতি

ম্ফ = ম + ফ; যেমন: লম্ফ

ম্ব = ম + ব; যেমন: প্রতিবিম্ব

ম্ব্র = ম + ব + র; যেমন: মেম্ব্রেন 

ম্ভ = ম + ভ; যেমন: দম্ভ

ম্ভ্র = ম + ভ + র; যেমন: সম্ভ্রম

ম্ম = ম + ম; যেমন: সম্মান

ম্য = ম + য; যেমন: গ্রাম্য

ম্র = ম + র; যেমন: নম্র

ম্ল = ম + ল; যেমন: অম্ল

য্য = য + য; যেমন: ন্যায্য

প্ন = প + ন; যেমন: স্বপ্ন

ল্ক = ল + ক; যেমন: শুল্ক

ল্ক্য = ল + ক + য; যেমন: যাজ্ঞবল্ক্য

ল্গ = ল + গ; যেমন: বল্গা

ল্ট = ল + ট; যেমন: উল্টো

ল্ড = ল + ড; যেমন: ফিল্ডিং 

ল্প = ল + প; যেমন: বিকল্প

ল্ফ = ল + ফ; যেমন: গুল্ফ 

ল্ব = ল + ব; যেমন: বিল্ব, বাল্ব

ল্ভ = ল + ভ; যেমন: প্রগল্ভ

ল্ম = ল + ম; যেমন: গুল্ম

ল্য = ল + য; যেমন: তারল্য

ল্ল = ল + ল; যেমন: উল্লাস

শ্চ = শ + চ; যেমন: পুনশ্চ

শ্ছ = শ + ছ; যেমন: শিরশ্ছেদ

শ্ন = শ + ন; যেমন: প্রশ্ন

শ্ব = শ + ব; যেমন: বিশ্ব

শ্ম = শ + ম; যেমন: জীবাশ্ম

শ্য = শ + য; যেমন: অবশ্য

শ্র = শ + র; যেমন: মিশ্র

শ্ল = শ + ল; যেমন: অশ্লীল

ষ্ক = ষ + ক; যেমন: শুষ্ক

ষ্ক্ব = ষ + ক + ব; যেমন: নিষ্ক্বাথ

ষ্ক্র = ষ + ক + র; যেমন: নিষ্ক্রিয়

ষ্ট = ষ + ট; যেমন: কষ্ট

ষ্ট্য = ষ + ট + য; যেমন: বৈশিষ্ট্য

ষ্ট্র = ষ + ট + র; যেমন: রাষ্ট্র

ষ্ঠ = ষ + ঠ; যেমন: শ্রেষ্ঠ

ষ্ঠ্য = ষ + ঠ + য; যেমন: নিষ্ঠ্যূত

ষ্ণ = ষ + ণ; যেমন: কৃষ্ণ

ষ্ণ্ব = ষ + ণ + ব; যেমন: বিষ্ণ্বিন্দ্র

ষ্প = ষ + প; যেমন: নিষ্পাপ

ষ্প্র = ষ + প + র; যেমন: নিষ্প্রয়োজন

ষ্ফ = ষ + ফ; যেমন: নিষ্ফল

ষ্ব = ষ + ব; যেমন: মাতৃষ্বসা

ষ্ম = ষ + ম; যেমন: উষ্ম

ষ্য = ষ + য; যেমন: শিষ্য

স্ক = স + ক; যেমন: মনোস্কামনা

স্ক্র = স + ক্র; যেমন: ইস্ক্রু 

স্খ = স + খ; যেমন: স্খলন

স্ট = স + ট; যেমন: স্টেশন 

স্ট্র = স + ট্র; যেমন: স্ট্রাইক 

স্ত = স + ত; যেমন: ব্যস্ত

স্ত্ব = স + ত + ব; যেমন: বহিস্ত্বক

স্ত্য = স + ত + য; যেমন:অস্ত্যর্থ

স্ত্র = স + ত + র; যেমন: স্ত্রী

স্থ = স + থ; যেমন: দুঃস্থ

স্থ্য = স + থ + য; যেমন: স্বাস্থ্য

স্ন = স + ন; যেমন: স্নান

স্ন্য = স + ন + য; যেমন: কার্ৎস্ন্য

স্প = স + প; যেমন: আস্পর্ধা

স্প্র = স + প +র; যেমন: স্প্রিং 

স্প্‌ল = স + প + ল; যেমন: স্প্‌লিন 

স্ফ = স + ফ; যেমন: আস্ফালন

স্ব = স + ব; যেমন: স্বর

স্ম = স + ম; যেমন: স্মরণ

স্য = স + য; যেমন: শস্য

স্র = স + র; যেমন: অজস্র

স্ল = স + ল; যেমন: স্লোগান

হ্ণ = হ + ণ; যেমন: অপরাহ্ণ

হ্ন = হ + ন; যেমন: চিহ্ন

হ্ব = হ + ব; যেমন: আহ্বান

হ্ম = হ + ম; যেমন: ব্রাহ্মণ

হ্য = হ + য; যেমন: বাহ্য

হ্র = হ + র; যেমন: হ্রদ

হ্ল = হ + ল; যেমন: আহ্লাদ

অভ্র কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম 丨অভ্র কিবোর্ড রেফ লেখার নিয়ম

অভ্র কিবোর্ড রেফ লেখার নিয়ম গুলো খুবই সাধারন। অন্যান্য কিবোর্ডের মতো আলাদা কোন কি ওয়ার্ড মনে রাখার প্রয়োজন নেই। পূর্বের অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার নিয়ম গুলোর মতোই এখানেও ইংরেজিতে যেভাবে রেফ জাতীয় বর্ণ লিখবেন সেটাই অভ্র কিবোর্ড রেফ লেখার নিয়ম হিসেবে বিবেচিত। 

বাংলা ভাষায় র ব্যবহারের তিনটি উপায়ের মধ্যে একটি হচ্ছে রেফ দ্বারা র ব্যবহার। যখন র-ধ্বনি অন্য বর্ণধ্বনির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে একত্রে উচ্চারিত হয় তখন একটি র রেফ আকারে বর্ণের উপড়ে বসে। অভ্র কিবোর্ড রেফ লেখার নিয়ম হলো কিবোর্ডে টাইপ করতে হবে দুটি (rr) যেমন- (বর্ণ) borrNo, আকর্ষণ (akorrShoN) ইত্যাদি। নিচে অভ্র কিবোর্ড রেফ লেখার নিয়ম অনুশীলনের জন্য কিছু বর্ণের উদাহরণ দেওয়া হলো। সেগুলো কয়েকবার অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার নিয়ম অনুযায়ী অভ্র কিবোর্ড রেফ লেখার নিয়ম মেনে অনুশীলন করলেই আপনাকে বড় আর্টিকেল বা কলাম লেখার সময় কোন সমস্যায় পড়তে হবে না। 

র্ক = র + ক; যেমন - তর্ক

র্ক্য = র + ক + য; যেমন: অতর্ক্য (তর্ক দিয়ে যার সমাধান হয় না)

র্গ = র + গ; যেমন: বর্গ

র্গ্য = র + গ + য; যেমন - বর্গ্য (বর্গসম্বন্ধীয়)

র্ঘ্য = র + ঘ + য; যেমন: দৈর্ঘ্য

র্ঙ্গ = র + ঙ + গ; যেমন: শার্ঙ্গ (ধনুর্বিশেষ)

র্চ্য = র + চ + য; যেমন: অর্চ্য (পূজনীয়)

র্জ্য = র + জ + য; যেমন: বর্জ্য

র্জ্জ = র + জ + জ; যেমন: ঊর্জ্জ

র্জ্ঞ = র + জ + ঞ; যেমন: দুর্জ্ঞেয়

র্ণ্য = র + ণ + য; যেমন: বৈবর্ণ্য (বিবর্ণতা)

র্ত্য = র + ত + য; যেমন: মর্ত্য

র্থ্য = র + থ + য; যেমন: সামর্থ্য

র্ব্য = র + ব + য; যেমন: নৈর্ব্যক্তিক

র্ম্য = র + ম + য; যেমন: নৈষ্কর্ম্য

র্শ্য = র + শ + য; যেমন: অস্পর্শ্য

র্ষ্য = র + ষ + য; যেমন: ঔৎকর্ষ্য

র্হ্য = র + হ + য; যেমন: গর্হ্য

র্খ = র + খ; যেমন: মূর্খ

র্গ = র + গ; যেমন: দুর্গ

র্গ্র = র + গ + র; যেমন: দুর্গ্রহ, নির্গ্রন্হ

র্ঘ = র + ঘ; যেমন: দীর্ঘ

র্চ = র + চ; যেমন: অর্চনা

র্ছ = র + ছ; যেমন: মূর্ছনা

র্জ = র + জ; যেমন: অর্জন

র্ঝ = র + ঝ; যেমন: নির্ঝর

র্ট = র + ট; যেমন: আর্ট, 

র্ড = র + ড; যেমন: অর্ডার

র্ণ = র + ণ; যেমন: বর্ণ

র্ত = র + ত; যেমন: ক্ষুধার্ত

র্ৎ = র + ৎ; যেমন: ভর্ৎসনা

র্ত্ম = র + ত + ম; যেমন: ক্লিন্নবর্ত্মাস্থি (ল্যাক্রিমাল বোন)

র্ত্র = র + ত + র; যেমন: কর্ত্রী

র্থ = র + থ; যেমন: অর্থ

র্দ = র + দ; যেমন: নির্দয়

র্দ্ব = র + দ + ব; যেমন: নির্দ্বিধা

র্দ্র = র + দ + র; যেমন: আর্দ্র

র্ধ = র + ধ; যেমন: গোলার্ধ

র্ধ্ব = র + ধ + ব; যেমন: ঊর্ধ্ব

র্ন = র + ন; যেমন: দুর্নাম

র্প = র + প; যেমন: দর্প

র্ফ = র + ফ; যেমন: স্কার্ফ 

র্ব = র + ব; যেমন: উর্বর

র্ভ = র + ভ; যেমন: গর্ভ

র্ম = র + ম; যেমন: ধর্ম

র্য = র + য; যেমন: আর্য 

র্ল = র + ল; যেমন: দুর্লভ

র্শ = র + শ; যেমন: স্পর্শ

র্শ্ব = র+ শ + ব; যেমন: পার্শ্ব

র্ষ = র + ষ; যেমন: ঘর্ষণ

র্ষ্ট = র + ষ + ট; যেমন: ধার্ষ্টামি (ধৃষ্টতা)

র্ষ্ণ = র + ষ + ণ; যেমন: পার্ষ্ণিকাস্থি

র্ষ্ণ্য = র + ষ + ণ + য; যেমন: কার্ষ্ণ্য (কৃষ্ণসম্বন্ধীয়)

র্স = র + স; যেমন: জার্সি

র্হ = র + হ; যেমন: গার্হস্থ্য

র্হ্য = র + হ + য; যেমন: গর্হ্য

র্ঢ্য = র + ঢ + য; যেমন: দার্ঢ্য (অর্থাৎ দৃঢ়তা)

কম্পিউটারে অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার নিয়ম ব্যবহারের কিছু সমস্যা  

কম্পিউটারে অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে গিয়ে অভ্র ব্যবহারকারিরা সবাই শুরুতে একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়। কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড মুলত অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাজেশন প্রদান করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য বাংলা লেখা খুবই সহজ করার চেষ্টা করে। সেজন্যে অনেক স্বাভাবিক বর্ণকেও যুক্তবর্ণে পরিণত করে যেগুলো অভ্র যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম গুলোর সাথে সংঘর্ষ তৈরী করে। যেমন- আপনি যখন লিখবেন (apnara) তখন অভ্র এই শব্দটিকে পরিবর্তন করে (আপ্নারা) বানিয়ে ফেলবে। সব ব্যবহারকারী এই বিষয়টি একটি সমস্যা হিসেবে দেখেন। 

  • এখন, এই সমস্যার সমাধান খুবই সহজ। এই বিষয়টি অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যেই পড়বে। যখন কোন বর্ণ তার পরের বর্ণের সাথে যুক্ত বর্ণ গঠনের সম্ভাবনা থাকে তখন প্রথম বর্ণের শেষে একটি অতিরিক্ত (O) লিখতে হবে। যেমন- (apnara) না লিখে তার বদলে (aponara) লিখতে হবে তাহলে বাংলা শব্দটি হবে (আপনারা) আসবে যা পূর্বে (আপ্নারা) ছিলো। 
  • একইভাবে, (ক্ষ্ম) যুক্তবর্ণ যেমন (ক্ষমতা) লিখতে যদি ইংরেজিতে (kShmta) লিখি তাহলে বাংলা শব্দটি আসবে (ক্ষ্মতা) কিন্তু সঠিক শব্দটি লিখতে হলে প্রতিটি অক্ষরের শেষে একটি করে অতিরিক্ত (o) যুক্ত করতে হবে যেমন (kShomota) তাহলে বাংলা শব্দটি হবে (ক্ষমতা)। এটি অভ্র কিবোর্ড যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে পড়বে। 
  • আরও একটি বহুল আলোচিত সমস্যা হচ্ছে হসন্ত (্‌) , অনেকেই অভ্র কিবোর্ড দিয়ে হসন্ত বসাতে পারে না। আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র লেখা হয়েছিলো অভ্র দিয়ে তাই কারও নামে হসন্ত দেওয়া হয় নাই এমন একটি গুজব শোনা যায়। এই সমস্যার সমাধান খুবই সহজ অভ্র কিবোর্ডে হসন্ত দিতে হলে শুধু দুইটি কমা ব্যবহার করতে হবে (,,) । যেমন- ইক্‌রা= (ik,,ra) 
  • অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার নিয়ম গুলোর সাথে সমস্যা তৈরী করে এমন সব সমস্যাগুলো উপরোক্ত নিয়মেই সমধান করতে হবে। এছাড়া আর কোন বিশেষ সমস্যার কথা খুব একটা জানা যায় না। অভ্র কিবোর্ড অত্যন্ত আধুনিক একটি বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার। 

অভ্র ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার বাংলা টাইপিং এর সমস্ত কাজ বিশেষ কোন প্রশিক্ষণ ব্যতীত করতে পারবেন। এই সম্পূর্ণ আর্টেকেলটি আমি অভ্র কিবোর্ড দিয়েই লিখেছি। নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি অভ্র আপনার সময় বাঁচিয়ে আপনাকে অল্প সময়ে দক্ষ বাংলা টাইপিষ্টে পরিণত করবে। 

মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার 

আপনারা সকলেই জানেন যে স্মার্ট ফোনে যেসকল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয় সেই সকল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার জন্য মোবাইলের অপারেটিং সিষ্টেমের নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন ষ্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হয়। যেমন- গুগলের রয়েছে প্লে ষ্টোর, এ্যপলের রয়েছে অ্যাপ ষ্টোর ইত্যাদি। তো মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করার জন্যেও অ্যাপ্লিকেশন ষ্টোর থেকে অভ্র সফটওয়্যারটি স্মার্ট ফোনে ইনষ্টল করে নিতে হবে। মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করার জন্য অভ্র কোন ধরনের মোবাইল এপ্লিকেশন বা লে আউট তৈরী করেনি। তাহলে মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করার উপায় কি। মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করার উপায় হচ্ছে- অভ্র কিবোর্ডের মতোই আরেকটি বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার। মোবাইল অর্থাৎ স্মার্ট ফোনের জন্য অভ্র কিবোর্ড হিসেবে দেখা হয় যে এপ্লিকেশনটিকে সেটির নাম "রিদ্মিক কিবোর্ড" স্মার্ট ফোনে ফোনেটিক বাংলা লেখার জন্যে রিদ্মিক ল্যাব কর্তৃক প্রকাশিত রিদ্মিক কিবোর্ড। মোবাইল ডিভাইসের অভ্র হিসেবে পরিচিত। রিদ্মিক কিবোর্ড ব্যবহার করার সময় আপনার মনে হবে আপনি মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করছেন। 

আপনি আপনার মোবাইলের অপারেটিং সিষ্টেম অনুযায়ী এপ্লিকেশন ষ্টোর থেকে রিদ্মিক কিবোর্ডটি ডাউনলোড করে, ইনষ্টল করে নিন। 

উপড়ের ছবিতে রিদ্মিক কিবোর্ডে ইন্টারফেস দেখানো হয়েছে যেন আপনি সহজে চিনতে পারেন। অতঃপর মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড লেখার নিয়ম গুলো একনজর দেখে নিলেই আপনি রিদ্মিক কিবোর্ড ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করার আনন্দ পাবেন। 

মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড লেখার নিয়ম 

রিদ্মিক কিবোর্ডেকে মোবাইলের অভ্র কিবোর্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারন কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহারের যেসকল সুবিধা পাওয়া যায় মোবাইলে রিদ্মিক কিবোর্ড ব্যবহার করার সময়ও সেই একই সুবিধা উপভোগ করা যায়। মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড লেখার নিয়ম অর্থাৎ রিদ্মিক কিবোর্ড দিয়ে বাংলা লেখার নিয়ম বলতে অভ্র দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম গুলোকেই বোঝানো যায়। 

মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড লেখার নিয়ম হিসেবে প্রথমেই আপনি যেখানে বাংলা লিখতে চাচ্ছেন সেখানে গিয়ে আপনার মোবাইলের কিবোর্ডের স্পেস বাটনটি বাম দিকে স্লাইড করে বাংলা কিবোর্ড সিলেক্ট করে নিবেন। 

তারপর মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড লেখার নিয়ম অনুযায়ী আপনি কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড দিয়ে ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করে যেভাবে বাংলা লেখার অনুশীলন করেছেন ঠিক সেভাবেই মোবাইলে বাংলা লিখবেন। মোবাইলে অভ্র কিবোর্ড লেখার নিয়ম আরও সহজ এবং স্বাভাবিক করার জন্য আপনি রিদ্মিক কিবোর্ডের মধ্যেই একটি বাংলা কিবোর্ড ম্যাপ পেয়ে যাবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য তা এখানে তুলে দেওয়া হচ্ছে। 



মোবাইলে রেফ লেখার নিয়ম 

কম্পিউটারে অভ্র কিবোর্ড দিয়ে রেফ লেখার নিয়মের মতোই মোবাইলে রেফ লেখার নিয়ম। মোবাইলে রেফ লেখার নিয়ম খুব ই সহজ। মোবাইলে রেফ লিখতে হলে আপনাকে শুধু দুইবার র+র লিখতে হবে। যেমন- আপনি লিখতে চাচ্ছেন "দর্শন" সুতরাং এখানে আপনাকে মোবাইলে রেফ লেখার নিয়ম অনুযায়ী লিখতে হবে "dorrshon" অর্থাৎ যেই অক্ষরের উপড়ে রেফ বসাতে চাচ্ছেন সেই অক্ষরের পূর্বে দুইটি র (r) যুক্ত করুন। আবার, "কর্তৃক" এই একটি শব্দে রেফ এবং ঋ কার একসাথে একই অক্ষরে ব্যবহৃত হয়েছে। এক্ষেত্রে, মোবাইলে রেফ লেখার নিয়ম হলো প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে রেফ এবং ঋ-কার এই দুইটির মধ্যে কোনটি প্রথমে লিখতে হবে আর কোনটি শেষে। কর্তৃক- এই শব্দে রেফ আগে এবং ঋ-কার পরে এসেছে তাই মোবাইলে রেফ লেখার নিয়ম হবে, ("korrtrrik") আগে রেফ পরে ঋ-কার লিখতে হবে। 

অভ্র কিবোর্ড বাংলা লেখার নিয়ম pdf 

আপনি এই আর্টিকেলের একদম শেষে চলে এসেছেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে আপনি অভ্র কিবোর্ড সম্পর্কিত সমস্ত কিছু জানতে পেরেছেন। এবার আপনাদের সুবিধার জন্যে অভ্র কিবোর্ড বাংলা লেখার নিয়ম pdf ফাইলটি এই আর্টিকেলে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কারন- অভ্র কিবোর্ড বাংলা লেখার নিয়ম pdf ফাইলটি ডাউনলোড করে রাখলে আপনি অফলাইনে থাকা কালিন অবস্থায়ও অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারবেন। অভ্র কিবোর্ড বাংলা লেখার নিয়ম pdf এ প্রায় অনেকগুলো ফাইল রয়েছে সবগুলো ফাইল ডাউনলোড করে হাতের কাছাকাছি রাখবেন। যেকোন সময়ে যেকোন ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হলে অভ্র কিবোর্ড বাংলা লেখার নিয়ম pdf ফাইলটি আপনাকে সাহায্য করবে। নিচে অভ্র কিবোর্ড বাংলা লেখার নিয়ম pdf ফাইল ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে খুব সহজে ডাউনলোড করে নিন।  

 

পরিশেষে, বাংলা টাইপিং-এর দক্ষতা আপনাকে ছাত্র এবং চাকরী জীবনে একধাপ এগিয়ে রাখবে। যেহেতু বর্তমান সময়ে সবাই আমরা স্মার্ট ফো ব্যবহার করি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অন্যের সাথে লিখিত বার্তা প্রেরণ করি সেহেতু বাংলা টাইপিং খুব সহজ মনে করি। সঠিক টাইপিং এর জন্য চাই অনুশীলন এবং দক্ষতা অর্জনের স্পৃহা। আপনার বাংলা লেখার দক্ষতা দিয়ে আপনি আপনার ভবিষ্যতের পথ সুগম করুন। রইলো অনেক শুভ কামনা 💗

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url