SSD NVMe M2 SATA এবং mSATA এর পার্থক্য
প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ। কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এর হার্ডডিস্ক এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বিভিন্ন ডাটা সেভ করে থাকি। যেহেতু দ্রুতগতি ও সহজ ভাবে সব কাজ করার জন্য আমরা ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ব্যবহার করি সেটা যদি হয় স্লো আর সময় সাপেক্ষ, ভেবে দেখুন তো কেমন হবে ব্যাপারটা।
এমন একটি সময় ছিলো যখন কম্পিউটারের নিজস্ব কোন ইন্টারনাল স্টোরেজ ছিলো না। বাজার থেকে আলাদা ডিস্ক কিনে এনে ব্যবহার করতে হত যেটাকে সবাই ফ্লাপি ডিস্ক নামে চিনি। সময়ের বিবর্তনে এখন আমরা অনেক উন্নত হয়েছি। এখন আমরা কম্পিউটারের ইন্টারনাল স্টোরেজ এই অনেক কিছু রাখতে পারি। তার পরেও কাজের মান আরো উন্নত করতে আমরা আলাদা ভাবে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এ আলাদা কিছু হার্ডওয়্যার ব্যবহার করতে পারি। যা কম্পিউটার ও ল্যাপটপ কে করবে আরো উন্নত। তবে এই ডিস্ক গুলো কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ডিস্ক বেছে নিতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক ডিস্ক গুলো সম্পর্কে-
SSD NVMe
আমরা অনেকেই SSD (এস. এস. ডি) এর নাম শুনেছি। কারন এটা খুব পপুলার একটা স্টোরেজ ডিভাইস। এর পুর্ণ রুপ হচ্ছে Solid-State Drive (সলিড- স্টেট ড্রাইভ)। এটি ব্যবহার ও খুব সহজ। আপনার ধীরগতির কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কে খুব সহজেই দ্রুতগতি তে রুপান্তর করতে সাহায্য করবে এটি। SSD (এস. এস. ডি) ব্যবহারের ফলে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এ ভিডিও এডিট, উইন্ডোজ রান, সফটওয়্যার রান, গেম প্লে, ব্রাউজিং সব কিছু হবেই স্মুথ।
আর কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সারাদিন ব্যবহারেও গরম হবে না। তবে এর স্টোরেজ স্পেস কম (১২০ জিবি) থাকার কারনে এটি আউট ইফ স্টোরেজ হয়ে যায় খুব জলদি আর এইটার দাম ও তুলনামুলক বেশি হয়ে থাকে। SSD (এস. এস. ডি) বেশীরভাগ ব্যবহার করা হয় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর হোস্টিং সার্ভার দ্রুত রান করানোর জন্য।
NVMe এর পুর্ণ রুপ হচ্ছে “Non-Volatile Memory Express". এটি এস এস ডি কে তার ফ্লাশ মেমোরি আরো স্মুথ ভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। এটি কে বিশেষ ভাবে SSD (এস. এস. ডি) কে আরো ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে তৈরি করা হয়েছে। NVMe ড্রাইভ 3500 MB/s দিয়ে থাকে।
M2 SATA এবং mSATA
M2 SATA এবং mSATA এই দুইটা ড্রাইভ মূলত SSD (এস. এস. ডি) এর দুইটি ধরন। M2 SATA এবং mSATA আপনাকে আপনার কম্পিউটার ও ল্যাপটপে M2 SATA এবং mSATA থেকেও অতিরিক্ত স্পেস দিয়ে থাকে। যে সকল ডিভাইস ছোট এবং চিকন এবং বোর্ড লেভেল স্টোরেজ সলুশন দরকার তাদের মধ্যে M2 SATA এবং mSATA বেশি পরিচিতি লাভ করেছে (যেমন- ল্যাপটপ, নোটবুকস)।
M2 SATA, mSATA কেই আপডেট করে তৈরি হয়েছে, তার পরেও এখনো অনেক ডিভাইসে mSATA ব্যবহার করা হচ্ছে। এই দুইটার কাজ অনেকটা এক হলেও আপনি একটি কে দিয়ে আরেকটি বিনিময় করতে পারবেন না। এটির স্টোরেজ স্পেস বেশি হয়ে থাকে যেমন ১০০০ জিবি+। তবে এটার প্রাইজ খুব বেশী হয়ে থাকে এবং এটি ব্যবহারের সময় কনফিউজড হওয়ার সম্ভবনা একটু বেশী।
mSATA পুর্ণ রুপ miniSATA হচ্ছে ফুল সাইজ SATA SSD এর থিনার ভার্শন। এটি একটি কম্পিউটার বাস ইন্টারফেস যা হোস্ট বাস এডাপ্টার কে মেস স্টোরেজ ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করতে সহায়তা করে।mSATA ২০০৯ এ প্রকাশ করা হয় (সিরিয়াল আটা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন) এর মাধ্যমে। এটির পাওয়ার কনজাম্পশন তুলনা মুলক কম, স্টোরেজ বেশি এবং ফাস্ট কাজ করে। এটি বেশির ভাগ ব্যবহার করা হয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলোকে নিরাপদে রাখার জন্য। তবে mSATA এর PE cycle কম।
M2 SATA এবং mSATA ব্যবহার করলে ডিভাইসের পাওয়ার ফল করলেও ডাটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে এবং এরা আপনার কাজের গতি বাড়াতে খুব ই কার্যকর।
বর্তমান যুগে হার্ডডিস্ক খুব ই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বাজেটের মধ্যে একটি ভালো মানের হার্ডডিস্ক ক্রয় করতে পারলে অর্ধেক কাজ কমে যায়। একটি ভালো হার্ডডিস্ক থাকলে আপনি যে কোন সময় অনেক পুরাতন তথ্য ও নিমিষেই পেতে পারেন। এই কারনে আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী আপনাকে হার্ডডিস্ক বাছাই করতে হবে। যারা এই ডিস্ক গুলো ব্যভার করেন তারা ৯৫% ই কেনেন ভালো স্পীড এর জন্য। কারন এই ডিস্ক গুলো সাধারন হার্ডডিস্ক থেকে দ্বিগুণ বা এর চেয়েও ফাস্ট কাজ করে।
খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url