অ্যাফিলিয়েন্ট ব্লগারদের (bolgger)জন্য সম্পূর্ণ নিদেশিকা

 

অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং এর সম্পূর্ণ নির্দেশিকা। ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করবেন।বাংলা ভাষার তৈরি ব্লগের আয়ের উৎস।
একজন ব্লগার হিসেবে ইনকাম  করতে চাইলে অনলাইন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পদ্ধতি। যদি আপনার  অ্যাফিলিয়েন্ট এ bolgg করতে  প্রবল ইচ্ছা আর আগ্রহ থাকে তবে আপনি ব্লগিং করে  মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

ব্লগ কি?

ব্লগ শব্দটি ইংরেজী Blogg এর বাংলা প্রতিশব্দ, যার শব্দের অর্থ অনেকটা ব্যক্তিগত অনলাইন দিনলিপি বা ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগের একটি মাধ্যম। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পোষ্ট করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য নেন এবং সেখানে তাদের মন্তব্য প্রকাশ করতে পারে। এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রিল্যান্স, সাংবাদিকতা ও অনলাইন আয়ের একটি মাধ্যম হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগাররা এটি নিয়মিত আপডেট করেন। এখন ব্যক্তিগত ডায়রীর পরিবর্তে ব্লগ একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। 

ব্লগিং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতে পারে। যেমনঃ রাজনীতি, সাহিত্য, খবর, টেকনোলজি, ভ্রমণ কাহিনী, আপনার জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা একটি ডায়েরির মত সব কিছু গুছিয়ে রাখা, এবং তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান সম্বন্ধে লিখা ইত্যাদি।

বাংলা  ভাষায় ব্লগিং(bolgging):


আপনি যদি বাংলা ভাষায় bolgging করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিন্তে বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে পারেন। কেননা বর্তমানে অনেক লোক বাংলা ভাষায় বাংলা কিওয়ার্ড লিখে অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে সার্চ করে থাকে। আর সেই সমস্ত সার্চ গুলো অবশ্যই বাংলা ভাষার আর্টিকেলগুলো চলে আসে। যেহেতু বাংলা ভাষায় ব্লগে সার্চ করে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা বাংলা ভাষায় ব্লগিং শুরু করতে পারি। বর্তমানে ইংলিশ ভাষায় অনলাইনে হাজার হাজার বিষয়বস্তু রয়েছে যার বাংলা ভার্ষণ গুলো নেই। এবং যা রয়েছে তা হলো ইংলিশ ভাষায় যা আআমরা বাঙালিরা ভালোভাবে বুঝতে পারি না। আমরা যদি বাংলা ভাষায় তাদের এই বিষয়বস্তু গুলোকে তুলে ধরি তাহলে অবশ্যই সেগুলো সাধারণ মানুষ জন বুঝতে সুবিধা হবে। আর যদি সবাই আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে বা প্রয়োজনে আসে তাহলে আপনার ব্লগ বা আপনার বাংলা ওয়েবসাইটটি সার্থক হবে। 

বাংলা ভাষায় ব্লগিং পরিকল্পনা

আপনি যদি বাংলা ভাষায় (bolgg) ব্লগিং করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই যে বিষয়গুলো পরিকল্পনা করে নিতে হবে তা হল: আপনি কি বিষয় নিয়ে ব্লগিং করবেন? আপনার ব্লগিং করার উদ্দেশ্য কি? আপনি কি পেশা হিসেবে ব্লগিং নিতে চান? নাকি পার্ট টাইম জব হিসেবে ব্লগিং করতে চান? আপনি কি ব্লগ থেকে ইনকাম করতে চান? নাকি আপনার ব্যক্তিগত পরিচিতির জন্য ব্লগে পার্টিসিপেট করতে চান? এ বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে যে বিষয়টি আপনার উত্তর আসবে সে বিষয়টি নিয়ে আপনি আগে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করুন। যারা বাংলা ভাষায় ব্লগিং পেশা হিসেবে নিতে চান আমি নিম্নে তাদের জন্য কিছু ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করলাম।

বাংলা ভাষায়  ব্লগিংর bolggerএর ভবিষ্যত:

বাংলা ভাষায় bolgging  এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলতে গেলে আমার আইডিয়া থেকে যতটুকু আমি মনে করি সেটা হচ্ছে, এখন বর্তমানে অনেক বিষয় যেগুলো অনলাইনে ইংলিশ ভার্সন রয়েছে কিন্তু সেগুলোর বাংলা কোন ভার্সন নেই। যে সমস্ত বিষয় গুলো ইংরিজিতে  রয়েছে সেটার বাংলা ভাষায় নেই সেগুলো যদি আমরা বাংলা ভাষায় লিখে তুলে ধরতে পারি তাহলে যে সমস্ত ইউজাররা ইংরেজি ভাষা সার্চ করে তারা আজ না হোক কাল অবশ্যই তারা বাংলা ভাষায় সে বিষয়বস্তুগুলো অনলাইনে খুজবে।

উদাহরণস্বরূপ: মনে করুন, যারা সার্চ করছে “How to earn Money Blogging” লিখে। যে সমস্ত রেজাল্ট পাচ্ছে সেগুলো দেখে সে রিচার্জ করছে। যদি আমরা এই তথ্য গুলো এইভাবে তুলে ধরি এই ভাবে “অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায়” এবং ভিজিটররা যদি তাদের কাঙ্খিত বিষয়গুলি বাংলা ভাষায় খুঁজে পায় তাহলে কি তারা ইংলিশ কন্টেন্ট খুজবে? এক কথায় না। তাহলে এখন বুঝতেই পারছেন বাংলা ভাষায় ব্লগিং করলে তার ভবিষ্যত কেমন।

ব্লগিং কেন করবেন?

ব্লগ blogg বা ব্লগিং শব্দটি শুনে নাই এমন লোকের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম বলে আমি বিশ্বাস করি। উন্নত দেশ গুলোতে bolgging জনপ্রিয় একটা জব। ব্লগিং করে লেখাপড়া পাশাপাশি  ইনকাম করে। প্রায় সব দেশের মানুষজন এই পেশার সঙ্গে জড়িত। আবার কেউ প্রধান ইনকাম সোর্স হিসেবেও কাজ করে। তবে এই ব্লগিং নিয়ে বাংলাদেশে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া আছে। অনেকে আবার ব্লগ বা ব্লগিং সম্পর্কে তেমন কিছু জানেও না। আমি চেষ্টা করবো সবার জন্য সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার।

বাংলা ভাষায়  bolgging এর ক্যাটাগরি:

ব্লগিং কে যদি আপনি টাকা ইনকামের মাধ্যম বা পেশা হিসেবে নিতে চান।তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্লগের ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে হবে। কেননা সকল ব্লগ থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।যেমন, ধরুন আপনি যদি একটি ব্যক্তিগত ব্লগ তৈরি করেছেন সেখানে আপনার পরিবার বা আপনার সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে সেখান থেকে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন  না। তাই এমন একটি ব্লগিং পেশা নির্বাচন করতে হবে যেন সেটা সুদূর প্রসারী হয়।যাতে সেটা থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারন। এখানে কিছু লাভজন ব্লগিং ক্যাটাগরি দেওয়া হলো

বাংলা ব্লগে ভিজিটর আনার উপায়ঃ

হ্যা আপনি ব্লগিং এর জন্য টপিক নির্বাচন করে ফেলেছেন এবং ব্লগ bolgg স্টার্ট ও করেছেন। এখন ব্লগে ভিটজটর দরকার। কোন চিন্তা নেই, ব্লগে ভিজিটর আনার কিছু কার্যকরি টিপস এখানে শেয়ার করলাম।

যাই হোক একটি ব্লগ bolgg শুরু করতে হলে প্রথমে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। আপনাকে যে খরচগুলো করতে হবে তা হলোঃ

বাংলা  ব্লগ তৈরি বা সেটাপ খরচ ও লাভ:

এখন আসি আসল কথায় আপনি যদি বাংলায় ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে কত টাকা খরচ হবে। এবং এখান থেকে কত টাকা আয় করতে পারব?
হ্যা আপনি যদি ভালো ভাবে রিসার্চ করে ভালো একটি টপিক নিয়ে ব্লগিং শুরু করেন তবে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি খুব ভালো করতে পারবেন। মাসে 20000 টাকা থেকে শুরু করে 200000 টাকা আয় করা কোন ব্যাপারই না।
১.একটা ডোমেইন কিনতে হবে = 500 থেকে 1000 টাকা।

২. একটা হোস্টিং কিনতে হবে। প্রথম অবস্থায় 1000 থেকে 3000 হাজার টাকার মত লাগবে। (হোস্টিং এর ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যেভাবে ব্লগ bolgger থেকে আয় করবেন।

আপনি আপনার ব্লগ তৈরি করেছেন এখন কথা হল ব্লগ থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন। রাইট আমি আজকে সেই কথাটি এখানে বলবো।

বর্তমানে ব্লগিং থেকে অনলাইনে আয় করার অনেকগুলো জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় কয়েকটি মাধ্যম গুলো নিয়ে আমি আলোচনা করছি।

বাংলা ভাষায় তৈরি ব্লগে bolgger আয়ের উৎসঃ

১.গুগল এডসেন্স:

বর্তমানে অনলাইনে আয় এর জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স। এটি একটি এডনেটওয়ার্ক।                          

একজন ব্লগার গুগল এডসেন্স থেকে খুব ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারে। আপনি যদি গুগল এডসেন্স নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে এডসেন্স সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।

২.এফিলিয়েন্ট: 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংহলো আপনার ব্লগে যদি কোন প্রোডাক্ট রিলেটেড হয় বা কোন ডিজিটাল প্রোডাক্ট হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন বিভিন্ন ভাবে প্রোডাক্ট বিক্রি করে এফিলিয়েন্ট কমিশন অর্জন করতে পারেন।

৩.ই-কমার্স:

ই-কমার্স বাংলাদেশের বর্তমানে মোটামুটি ভালো মানের একটি ব্যবসা।এটি হচ্ছে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে সেই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রি করবেন এবং সেটা থেকে আপনার প্রফিট আসবে। 

৪.অন্যান্য এড নেটওয়ার্ক:

আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো  মানে ভিজিটর থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি গুগল এডসেন্স ছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সেখান থেকে আপনি উপার্জন করতে পারেন। 

৫.ব্যানার সেল:

ব্যানার সেল করে অনলাইন থেকে উপার্জন করা এটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম| বিভিন্ন লোকাল মার্কেট গুলো থেকে তাদের ব্যবসা প্রচারের জন্য আপনার ওয়েবসাইটের সাইডবার বা বিভিন্ন স্পেস বাড়ে তারা বিজ্ঞাপন দেবে। সাপ্তাহিক মাসিক হিসেবে ওয়েবসাইট একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে চার্জ দিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো থেকে করে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে।

৬.স্পন্সর এড:

স্পন্সর এড সেল করে উপার্জন করা। আপনার যদি একটা ভালো ওয়েবসাইট থাকে এবং ভালো পরিমানে ভিজিটর থাকে সে ক্ষেত্রে অনেক কোম্পানি বা অনেক মিডিয়া পার্টনার আপনার সেই ওয়েবসাইট থেকে তাদের স্পন্সর হিসেবে ইউজ করবে। সে ক্ষেত্রে তারা আপনাকে বাৎসারিক নির্দিষ্ট পরিমাণে চার্জ দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে তাদের প্রচার প্রচারণা চালাবে। সেটা থেকেও খুব ভালো পরিমাণে আয় করা সম্ভব।

৭.প্রোডাক্ট রিভিও:

আপনার ওয়েবসাইটটি যদি কোন প্রোডাক্ট যেমন মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এ ধরনের কোন প্রোডাক্ট রিলেটেড হয় তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি আপনার ওয়েবসাইটে তাদের প্রডাক্ট রিভিউ করে আর্টিকেল প্রকাশ করবে। এবং সে ক্ষেত্রে আপনাকে তারা খুব ভালো পরিমাণে  অর্থ বা প্রডাক্ট দিয়ে থাকবে।

সর্বশেষেঃ

সর্বশেষে এটাই বলতে চাই আপনি যদি বাংলায় ব্লগিং bolgging করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো একটি টপিক নির্বাচন করে আজ পড়ুন। কেননা বর্তমানে যে হারে অনলাইনের ব্যবহার পারছে ভবিষ্যতে আপনার একটি ওয়েবসাইট হতে পারে আপনার জীবনের একটি বড় যুগান্তকারী উপার্জনের মাধ্যম।আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো সেটা জানাবেন এবং কোন পরামর্শ বা কোন কিছু জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করুন।

ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট শোয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

খুটিনাটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url